পেটে অতিরিক্ত মেদ?
- সাইমা আক্তার
অতিরিক্ত মেদ যেমন শরীরকে মুটিয়ে দেয় তেমনি বিভিন্ন রোগকে শরীরে বাসা বাঁধতে সহায়তা করে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে মেদ জমাট বাঁধে বিভিন্ন কারণে। যেমন অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খেলে, প্যাকেটজাত খাবার বেশি গ্রহণ করলে, বিভিন্ন ঠাণ্ডা জাতীয় পানীয় যেমন কোক, সোডা ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে শরীরে মেদ জমাট বাঁধতে শুরু করে।
এছাড়াও শরীরে অধিক পরিমাণে চর্বি বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক বা স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ডাক্তাররা বলেন, শরীরে মেদ দেখা দিলে তার প্রথম প্রভাব পড়ে পেটে। এতে করে পেটের মেদ অধিক পরিমাণে বেড়ে যায়, সেই সাথে পেটে ফোলা ভাবও লক্ষ্য করা যায়।
এ থেকে মুক্তি পেতে বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের সমাধান। পেটের মেদ কমাতে প্রথমেই যা করতে হবে তা হলো, খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। তাদের মতে, অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের কারণে শরীরে মেদ দেখা দেয়। তাই সবার আগে কমাতে হবে খাবারের পরিমাণ।
এক্ষেত্রে বেছে নিতে হবে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন ওটস, বিভিন্ন ধরনের ধরনের সবুজ শাক-সবজি, মাছ, মুরগীর মাংস, ফল, বাদাম ইত্যাদি খাবার। তাছাড়া ভাতের পরিমাণ একেবারেই কম রাখারও পরামর্শ দেন। সেক্ষেত্রে ৩ ভাগের ১ ভাগ থাকবে ভাত আর বাকী শাক-সবজি, মাছ বা মাংস এবং সেই সাথে সালাদ রাখতে হবে সাথে।
চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার এ সময় না নেওয়াই ভালো। এতে থাকা শর্করা আপনার শরীরের মেদ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এ মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ না করাই ভালো।
ডায়েটের উপর নির্ভর একেবারেই না করে কিছুটা হাঁটাহাঁটি বা জিম করারও পরামর্শ দেন তারা। এতে করে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। যারা জিমে ব্যায়াম করবেন তারা অবশ্যই জিম ট্রেইনারের কাছে ভালো করে জেনে এবং সেই সাথে সঠিকভাবে ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন।
এতে করে ট্রেইনার আপনার লক্ষ্যে পৌছাতে সহায়তা করে থাকবে। পেটের ব্যায়াম ভালো করে দেখে নিয়ে সেই অনুযায়ী রোজ করলে কিছু দিন পর ভালো রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব ।
এছাড়াও যারা জিমে ব্যায়াম করতে পারেন না সময় স্বল্পতার কারণে, তারা বাসাতেই করে নিতে পারবেন পেটের ব্যায়াম। সিট আপ বা লেগ রেইস, হাফ সিট আপ ইত্যাদি ব্যায়াম করতে পারেন। এর পাশাপাশি চেষ্টা করবেন নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা এবং সেই সাথে আস্তেধীরে দৌড়ানোরও অভ্যাস গড়ে তোলা।
স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে আনতে প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস করে পানি পান করারও পরামর্শ দেন। এতে করে শরীর সুস্থ থাকবে সেই সাথে রোগও কম হবে।