রোগ প্রতিরোধকারী শীতের খাবার

রোগ প্রতিরোধকারী শীতের খাবার

রবিউল কমল : শীতকালে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি থাকে। তাই এই সময় রোগ প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। এই সতর্কতা হিসাবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনুন, তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে অনেকগুণ। দৈনিক খাদ্য তালিকায় আপনি চর্বিহীন প্রোটিন, ননিহীন দুধ কিংবা গমের তৈরি রুটি রাখতে পারেন। রাতের বেলা পর্যাপ্ত ঘুম, সকালে ব্যায়াম, কম মানসিক চাপ এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে পাঁচটি খাবারের কথা জানিয়েছে যেগুলো খেলে শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আসুন জেনে নেই সেই খাবারের কথা।


মধু:

মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। তাই জ্বর ও ঠান্ডা প্রতিরোধে মধু সবচেয়ে নিরাপদ খাবার।প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এবং সকালের নাশতায় মধু খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হবে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে। যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান।

রসুন:

জ্বর ও ঠান্ডার জন্য রসুন খাওয়া ভালো। রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে কাঁচা রসুন সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তবে হজমে সমস্যা হলে রসুন রান্না করেও খেতে পারেন।

মাশরুম:

মাশরুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শীতে ঠান্ডা ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে মাশরুম খুব উপকারী।

গ্রিন টি:

গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া ক্যামোমিল টি খেতে পারেন। এর মধ্যেও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শীতে ঠান্ডা ও ফ্লুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে।

গাজর:

গাজরে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-এ। গাজর ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে সাহায্য করে। গাজরকে স্যুপ করে খেতে পারেন অথবা সালাদ করেও খেতে পারেন। এ ছাড়া গাজরের জুসও খাওয়া যেতে পারে।

শীতে এই পাঁচটি খাবার বেশি বেশি খান এবং নিজেকে সুস্থ্য রেখে শীতকে উপভোগ করুন। favicon5

Sharing is caring!

Leave a Comment