সকালবেলার সুঅভ্যাস
মারুফ ইসলাম : বাংলায় প্রবাদ আছে, সকাল দেখেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। কিন্তু আফসোস, আমরা অনেকেই সকাল দেখি না! সারাটা সকাল পরে পরে ঘুমাই! গবেষণায় বলা হচ্ছে, যাঁরা ঘুম থেকে দেরিতে ওঠেন, তাঁদের তুলনায় যাঁরা সকালে তাড়াতাড়ি ওঠেন, তাঁদের মস্তিষ্ক বেশি তীক্ষ্ণ হয়। সকালের ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলে শরীর ও মন ভালো থাকে। এ ছাড়া কাজ করার জন্য একটু বেশি সময় পাওয়া যায়। অতএব বুঝতেই পারছেন, সকাল বেলার কয়েকটি অভ্যাস বদলে দিতে পারে আপনার পুরো জীবন। চলুন, এক নজর দেখে নেওয়া যাক অভ্যাসগুলো।
১. ঘুম ভাঙুক খুব সকালে
- বেশিরভাগ সফল মানুষ সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠাকে পছন্দ করেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে শরীর ও মন বেশ ফুরফুরে থাকে। তবে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার মানে এই নয় যে সকাল ৭টার সময় ঘুম থেকে উঠবেন। সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠা মানে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে ওঠা।
২. প্রকৃতির কাছাকছি
- ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম করুন। হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা—এ রকম কাজ করতে পারেন। সূর্যের আলো আর প্রকৃতির সতেজ বাতাসে হাঁটাহাটি করলে মনে এক ধরনের প্রফুল্লতা আসে। এতে সারা দিনের জন্য শারীরিক ও মানসিক শক্তি অর্জন করে নিতে পারবেন। মানসিক ও শারীরিকভাবে সতেজ থাকলে এর প্রভাব আপনার কাজে পড়বে।
৩. শান্ত-শিথিল-ধ্যানমগ্ন
- সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারেন এই সময়। এতে স্নায়ু শান্ত ও শিথিল থাকবে। কাজের প্রতি মনোযোগও বাড়বে। এ ছাড়া সারা দিন কীভাবে কাজ করবেন, তার একটি তালিকা তৈরি করে নিতে পারেন। এটি কেবল পরিকল্পনা করতেই্ সাহায্য করবে না। এতে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোও আপনার মনে থাকবে।
৪. সময়মতো সকালের নাশতা
- কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য শরীরকে ভালো রাখা জরুরি। সারা দিন না খেয়ে কেবল কাজই করে গেলে একসময় এর চাপ পড়বে শরীরের উপর। এতে কাজ আরো খারাপ হয়ে যাবে। শরীরকে সুস্থ রাখতে সকালের নাশতা খাওয়া অবশ্যই জরুরি। এটি মস্তিষ্ককে নিরোগ রাখতে সাহায্য করে, কাজে উদ্যম জোগায়।
৫. আপডেট থাকুন
- সারা বিশ্বে কী হচ্ছে, এর খোঁজখবর রাখতে সকালে খবরের কাগজ বা অনলাইন পোর্টাল পড়ুন অথবা টিভিতে সংবাদ দেখুন। অন্তত আধা ঘণ্টা এই কাজ করুন। এসব তথ্য আপনার পেশাকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। আর বর্তমান সময়ের অবস্থাও আপনার জানা থাকবে।