গাজরের পুষ্টিগুণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক: শীত আসছে। বাজারে রকমারী সবজির বাহার। এত সব সবজির ভীড়ে শীতকালে প্রকৃতির বিশেষ আর্শিবাদ গাজর। কেননা শীতের আর সব সবজির তুলনায় গাজরের পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি। চলুন জেনে নি গাজরের বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।
তারুণ্য ধরে রাখতে: যারা চেহারার উজ্জল্য বাড়াতে সকাল বিকাল বিউটি পাল্লারে ছোটাছুটি করেন। মুখের দাগ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত! তারুণ্য ধরে রাখতে মরিয়া। তাদের প্রতিদিন অন্তত একটি করে প্রমান সাইজের গাজর খাওয়া উচিত। কারণ গাজরে আছে প্রচুর পরিমানে ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা চেহারার উজ্জল্য বাড়ায়, মুখের দাগ কমায় এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহাজ্য করে।
চর্বি কমাতে: গাজর দেহের চর্বির পরিমান কমায়। অতিরিক্ত চর্বি যাদের শরীরে, তারা শসা, পেঁপে বা এ জাতীয় সবজির সাথে প্রধান হিসাবে গাজর খেতে পারেন। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে: বিটা ক্যারোটিন নামক জৈব যৌগ সব বয়সি মানুষের চোখের পুষ্টি জোগায়। গাজরে প্রচুর পরিমান বিটা ক্যারোটিন থাকে। গবেষকদের দাবি, যারা নিয়মিত গাজর খায় তাদের চোখের অসুখ কম হয়। কেননা গাজর চোখের স্নায়ু শক্তিশালী করে।
হৃৎপিন্ড ও ত্বক সুন্দর রাখতে: শরীরের কিছু ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বা চর্বি হৃৎপিন্ড থেকে অঙ্গপ্রতঙ্গে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করে। যার ফলে কখনো কখনো রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। গাজর এই সব ক্ষতিকারক কোলেস্টেরেলের পরিমান কমায়, একই সাথে ত্বকের জন্য উপকারী লাইপো প্রটিনের মাত্রা বাড়ায়। যার ফলে ত্বক সুন্দও হয়।
রক্ত ঘাটতি পূরণে: গাজর রক্তের প্রধান উপাদান আরবিসিকে দীর্ঘজীবী করে। ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া মানে রক্তের পরিমান বেড়ে যাওয়া। কাজেই কোন বড় অস্ত্রপচারের পর শরীরে রক্ত ঘাটতি কমাতে বিশেষ সহায়ক গাজর।
মস্তিষ্কের যত্নে: মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে দ্বিগুন কর্মক্ষম করে মানুষের মেধাশক্তি বাড়িয়ে দেয় গাজর।
শিশুর বৃদ্ধিতে: শিশুদের জন্য গাজরের খিচুড়ি বা গাজরের হালুয়া বিশেষ উপযোগি। কারণ এর আঁশ জাতীয় উপদান শিশুর কোষ্টকাঠিন্য দুর করে শিশুকে সবল করে। শিশুর বুদ্ধি বিকাশ এবং ঠিকঠাক হজম হওয়ার জন্য কাজ করে।
অঙ্গ-প্রতঙ্গের যত্নে: গাজরে বিদ্যমান পর্যাপ্ত খনিজ লবণ হাড়, দাঁত, মাড়ি, নখ ও চুলের স্বাস্থ ভালো করে।
তবে কিডনি এবং ডায়বেটিস রুগীদের তুলনামুলক কম গাজর খাওয়া ভালো। কারন মাটির নিচে জন্মানোর কারনে এতে কার্বহাইড্রেট বা শর্করা বেশি খাকে, যা কিডনি এবং ডায়বেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর।