কচুশাকের অনেক গুণ

কচুশাকের অনেক গুণ

রবিউল কমল : বাংলাদেশে বেশ সহজপ্রাপ্য একটি শাক হল কচুশাক। আয়রনসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে এটির বেশ খ্যাতি আছে। ডাক্তারদের পছন্দের তালিকার প্রথম সারিতে কচুশাকের নাম থাকে। এ ব্যাপারে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ জানান,‘গর্ভবতী মহিলা এবং ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষের জন্য কচুশাক অনেক উপকারি।’ কচুশাকের বিভিন্ন গুণের কথা নিচে তুলে ধরা হল।


স্বাদ বাড়াতে:

বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে কচুশাকের কোনো জুড়ি নেই। বিশেষ করে ইলিশ, চিংড়ি ও শুঁটকি মাছের সঙ্গে কচুশাক রান্না করলে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ এবং খাবার হয়ে ওঠে মুখরোচক।

চিকিৎসাগুণ:

কচুশাকের প্রধান উপাদান আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রেখে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বজায় রাখে। তাছাড়া কচুশাকে পচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকে যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। রক্তশূন্যতার চিকিৎসাতেও কচুশাকের কোনো জুড়ি নেই। শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষের শক্তি বাড়ায় কচুশাক। এ ছাড়া কচুশাক আঁশসমৃদ্ধ খাবার তাই সহজে হজম করতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, ‘এই শাক সরাসরি শরীরের নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গের রোগ দূর করে না, তবে সারা দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় রেখে সারা শরীরের উপকার করে।

সতর্কতা:

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে কচুশাক খেলে অনেক সময় গলা চুলকায়। এর কারণ এই শাকে অক্সালিক অ্যাসিড থাকে। যাদের শরীরে এই অ্যাসিডের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত, তাদের কচুশাক না খাওয়াই ভালো। খেলে যে খুব একটা ক্ষতি হবে তা না, তবে অস্বস্তি তৈরি করে। সারা রাত ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানি ফেলে দিলে অক্সালিক অ্যাসিড নিরাপদ মাত্রায় নেমে আসে। এ ছাড়া থ্যালাসেমিয়া রোগী কিংবা হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন কাউকে যেকোনো ধরনের কচুশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। favicon

Sharing is caring!

Leave a Comment