মশলার অন্য ব্যবহার
রিক্তা রিচি: রান্নাকে সুস্বাদু করতে ব্যবহৃত হয় নানান মশলা। এই মশলাগুলো কমবেশী আমরা সবাই চিনি। রান্নায় কখন, কোন মশলা ব্যবহার করতে হবে সেটা তো আমরা সবাই জানি কিন্তু হাতের কাছের এই মশলাগুলোর চমৎকার কিছু কার্যকারীতার কথা কি আমরা জানি? শারিরীক সুস্থতার জন্য এইসব মশলার অবিশ্বাস্য কার্যকারীতা রয়েছে। আসুন জেনে নিই:
গোলমরিচ
- গোলমরিচ মানসিক চাপ, হাড়ের ব্যথা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা দূর করে। বাতের ব্যাথা কমাতে একমুঠো গোলমরিচ ভালোভাবে গরম করে তা একটি কাপড়ে নিয়ে ব্যাথার স্থানে কিছুক্ষণ ধরে রাখলে বাতের ব্যাথা কমে যাবে।
লবঙ্গ
- লবঙ্গ খুশখুশে কাশি দূর করতে সাহায্য করে এবং মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
মৌরি
- মৌরি শ্বাসনালীর ইনফেকশনের সমস্যা সমাধান করতে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। শীতকালে ১০ মিনিট গরম পানিতে আধা চামচ মৌরি ভিজিয়ে দিনে বেশ কয়েকবার পান করলে পেট ও শ্বাসনালীর সমস্যা দূর হবে।
এলাচ
- পোলাও কোর্মা ইত্যাদি খাবারে সুঘ্রাণের জন্য এলাচ ব্যবহার করা হয়। এলাচ পাকস্থলিকে শান্ত এবং নিঃশ্বাসকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে সহায়ক।
দারুচিনি
- দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান।
ধনে
- ধনে পেট, অন্ত্র এবং নার্ভকে শান্ত রাখে। এছাড়া জটিল মাথাব্যাথা সারাতেও এর ভূমিকা অনন্য। গরম পানিতে এক চা চামচ শুকনো ধনে ১০/১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তা ছেকে মধু মিশিয়ে পান করলে মাথাব্যাথা কমে যাবে।
জাফরান
- জাফরান নিঃসন্দেহে একটি দামী মশলা। এবং এটি পোলাও, বিরিয়ানী এবং যেকোনো মিষ্টি জাতীয় খাবারে দেওয়া হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে একগ্লাস গরম দুধে এক চিমটি জাফরান নিয়ে দু তিন মিনিট গরম করে পান করুন। হৃদরোগের সমস্যায়ও জাফরান দারুন কাজ করে।
আদা
- আয়ুবের্দী ঔষুধ হিসেবে আদা পরিচিত। সর্দি, কাশি, পেটের সমস্যা সারাতে আদার ভুমিকা রয়েছে। পেটের ব্যকটেরিয়া মারার জন্য বড় একটুকরো আদা এক লিটার পানিতে ঘন্টাখানেক ফুটিয়ে ২৪ ঘন্টা পর তা বোতলে ঢেলে রাখুন। তারপর অল্প অল্প করে পান করুন।
জায়ফল
- শক্ত বাদামের মত এই মশলার জন্ম ইন্দোনেশিয়ায়। জায়ফলের ভেতরের শক্ত দানা গুরো করে খেলে বাতের ব্যাথা, ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। খাওয়ার রুচি বাড়াতে জায়ফল উপকারী তবে তা অল্প পরিমাণে খেতে হবে।
দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত মশলার রয়েছে দারুণ সব কার্যকারীতা। মশলার উপকারিতাগুলো কাজে লাগিয়ে আপনিও রোজ সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান থাকুন।