যাদু জানে ডাবের পানি
- শাহজাহান নবীন
বসন্তের শেষ লগ্ন। ধেঁয়ে আসছে গ্রীষ্মের খরতাপ। দিগন্ত পুড়ে খাঁ খা করা গরম। ভ্যাপসাঁ গরমে জনজীবন হাঁপিয়ে উঠে। গরমের ঝলকানিতে একটু প্রশান্তি ও তেষ্টা মেটাতে সবাই ছুটে শীতল জলের আশায়। ঠান্ডা জলের পরশে গরমের হাহাকার থেমে যায় মুহুর্তেই। চিকিৎসকরা বলছেন, গরমের দিন মানুষের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরে। আর ঘামের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় লবণ। তাই গরমের দিন পানির সাথে একটু লবণ মিশিয়ে স্যালাইন বানিয়ে খাওয়াই বেশী উপকারী। তবে এতো ঝক্কি-ঝামেলার কোনো দরকার পড়ে না, যদি হাতের কাছে পেয়ে যান প্রকৃতির দান ‘ডাব’।
এদিকে ওদিক না তাকিয়ে গরমের দিনে ঝটপট খেয়ে নিতে পারেন এক গ্লাস ডাবের পানি। এতে আপনার গরমের তৃষ্ণাও মিটবে অন্যদিকে ঘামের সাথে বেরিয়ে যাওয়া লবণ বা অন্যান্য উপাদানের ঘাটতিও পুষিয়ে দেবে এক গ্লাস ডাবের পানি। এছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন এক গ্লাস ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে বেশকিছু শারীরিক সমস্যা থেকে মিলবে উত্তরণের পথ। গ্রীষ্মের আসন্ন খরতাপে প্রশান্তি পেতে পারেন ডাবের পানিতে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে : ডাবের পানিতে রয়েছে প্রাকৃতিক মিনারেলস যা শরীরের রক্ত সঞ্চালন সাভাবিক রেখে রক্ত চাপ জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া ডাবের পানি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
পরিপাকে সহায়ক : এক গ্লাস ডাবের পানি খাওয়ার পর বুক জ্বালা করা, পেট ফাঁপা, হজমে সমস্যা, এসিডিটির সমস্যা দুর হয়ে যাবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে : এছাড়া ডাবের পানিতে অন্য কোনো পানীয়’র মতো কৃত্রিম সুগার নেই। যা সব ধরণের জুসের মধ্যে থাকে। ডাবের পানি ১০০% ফ্যাটমুক্ত পানি। তাই যারা ডায়েট করছেন তারা নিশ্চিন্তে ডাবের পানি খেতে পারেন বিকল্প পানীয় হিসেবে।
এছাড়া ডাবের পানিতে রয়েছে এ্যান্টিভাইরাল ও এ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা শরীরের অসংখ্য রোগ প্রতিরোধ ও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম যা কিডনী সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ত্বকের নানাবিধ সমস্যা যেমন- মেছতা, ব্রণ, ইনফেকশন, লাবণ্যতা হারানোসহ নানা সমস্যার সমাধান রয়েছে এই ডাবের পানিতে। এছাড়া কোষ্টকাঠিণ্যের সমস্যা দুর করতেও ডাবের পানির বিকল্প নেই।