খাঁটি মধু কীভাবে চিনবেন?
- রিক্তা রিচি
মধু একটি উপকারী খাদ্য। মধুর গুণাগুনের শেষ নেই। প্রাকৃতিক খাবার এই মধু শুধু খাদ্য হিসেবেই নয়, পথ্য ও ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম এই খাবারটি বাজা্র থেকে কিনতে গেলে অনেককেই পড়তে হয় বিপাকে। বাজারে যে মধু কিনতে পাওয়া যায় তা আসল নাকি নকল তা বোঝা বড় দায়। কেন না বাজারে ভেজাল পানি, চিনি এবং আরো অনেককিছু মিশিয়ে বানানো নকল মধু পাওয়া যায় খেলে স্বাস্থ্যঝুকি বাড়ে। তাই মধু আসল নাকি নকল তা নির্ণয় করে ফেলুন কিছু কৌশল রপ্ত করে।
১) ফ্রিজিং পরীক্ষা
মধুকে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়ে আসল নাকি নকল তা নির্ণয় করা যায়। খাঁটি মধু জমবে না। ভেজাল মধু ফ্রিজে রাখলে পুরোপুরি না জমলেও জমাট তলানি পড়বে।
২) আঙ্গুলের পরীক্ষা
মধুর পুরুত্ব দেখার মাধ্যমে আসল মধু চেনা যায়। বৃদ্ধাঙ্গুলে সামান্য মধু নিন, যদি তা অনেক আঠালো মনে হয় তাহলে বুঝবেন এটি আসল মধু।
৩) পিঁপড়া পরীক্ষা
এক টুকরো কাগজে কয়েক ফোটা মধু নিয়ে যেখানে পিঁপড়া আছে সেখানে রেখে দিন। যদি পিঁপড়া মধুর ধারে কাছেও না আসে তাহলে বুঝে নিবেন এটি আসল মধু। ভেজাল মধুতে পিঁপড়ার উপদ্রব বেড়ে যাবে।
৪) দ্রাব্যতা পরীক্ষা
একটি স্বচ্ছ গ্লাসে পানি নিন। পুরো এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ পরিমাণ মধু নিন। যদি মধু পানিতে পুরোপুরি দ্রবীভুত হয়ে যায় তাহলে এটি ভেজাল মধু। খাটি মধু পানিতে ছোট ছোট পিন্ডের আকারে থাকে।
৫) শোষণ পরীক্ষা
একটি ব্লটিং পেপারে কয়েক ফোঁটা মধু নিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করুন। ভেজা মধু ব্লটিং পেপারকে ভিজিয়ে দিবে কিন্তু খাটি মধু পেপার দ্বারা শোষিত হবে না।
৬) কলঙ্ক পরীক্ষা
কি অবাক হচ্ছেন? কলঙ্ক পরীক্ষা করেও চেনা যায় আসল মধু। এক টুকরো সাদা কাপড়ে সামান্য পরিমাণ মধু নিন । খানিক পরে তা ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার পর যদি সাদা কাপরে দাগ থাকে তাহলে তা নকল মধু। আর যদি দাগ না থাকে তাহলে এটি আসল মধু।
৭) ভিনেগার পরীক্ষা
দুই তিন ফোঁটা ভিনেগার এবং পানি মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। মিশানোর পর যদি ফেনার মত তৈরী হয় তাহলে বুঝে নিবেন এটি নকল মধু।
এছাড়াও আসল মধু-নকল মধু চেনার আরও কিছু পদ্ধতি আছে। যেমন :
আসল মধুতে
- ফেনা হয় না
- স্বাভাবিক ঘ্রান থাকে
- তলানি মসৃন হয়
- সর্বদা পুরু হয়