আসল ডিম নকল ডিম
- ফিচার ডেস্ক
‘সপ্তাহে ৭ দিন ডিম খান প্রতিদিন’— এই কথাটি এখন রীতিমত স্লোগানে পরিণত হয়েছে। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্যতম একটি খাবার ডিম। ডিম ছাড়া যেন আমাদের সকালের নাস্তাই পূর্ণতা পায় না। কিন্তু আপনি জানেন কী প্রতিদিনের খাবার তালিকার এই প্রিয় জিনিসটিতেই রয়েছে অন্যতম স্বাস্থ্যঝুঁকি।
সম্প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে বিশেষ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস, মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট মর্নিং ও দেশের কয়েকটি জাতীয় নিউজ পোর্টালে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, চীনের রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সীমান্তের চোরাপথে চীন থেকে কৃত্রিম ডিম পাচার হয়ে আসছে। যা দেখতে অবিকল হাঁস–মুরগির ডিমের মতো।
তাই বিষয়টিকে কিছুতেই উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ বাণিজ্যিকভাবে এই নকল ডিমের ব্যবসা বেশ লাভজনক হওয়ায় নানামহল এখন মাঠে নেমেছে।
কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই ডিমে নেই কোনো প্রোটিন বা খাদ্যগুণ। এই ডিম মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
আসুন জেনে নেই কীভাবে চিনবেন নকল ডিম :
• কৃত্রিম ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড়।
• কৃত্রিম ডিম সিদ্ধ করলে কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়।
• এই ডিম ভাঙার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
• কৃত্রিম ডিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। এর খোসা অল্প চাপেই ভেঙে যায়।
• কৃত্রিম ডিমের খোলস খুব মসৃণ হয়। খোসায় প্রায়ই বিন্দু বিন্দু ফুটকি দাগ দেখা যায়।
• কৃত্রিম ডিম রান্না করার পর এই ডিমে অনেক সময় বাজে গন্ধ হয়। এতে আসল কুসুমের গন্ধ পাওয়া যায় না।
• কৃত্রিম ডিমকে যদি আপনি সাবান বা অন্য কোনো তীব্র গন্ধ যুক্ত বস্তুর সাথে রাখেন, ডিমের মাঝে সেই গন্ধ ঢুকে যায়। রান্নার পরেও ডিম থেকে সাবানের গন্ধই পেতে থাকবেন।
• কৃত্রিম ডিমের আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য লক্ষণ হলো ডিম দিয়ে তৈরি খাবারে এটা ডিমের কাজ করে না। যেমন পুডিং বা কাবাবে ডিম দিলেন বাইনডার হিসাবে। কিন্তু রান্নার পর দেখবেন কাবাব ফেটে যাবে, পুডিং জমবে না।
• কৃত্রিম ডিমের আকৃতি অন্য ডিমের তুলনায় তুলনামূলক লম্বাটে হয়ে থাকে।
• কৃত্রিম ডিমের কুসুমের চারপাশে রাসায়নিকের পর্দা থাকে বিধায় কাঁচা কিংবা রান্না অবস্থাতে কুসুম সহজে ভাঙতে চায় না।