বায়ু দূষণের ক্ষতি থেকে বাঁচবেন যেভাবে
- হেলথ অ্যান্ড লাইফস্টাইল ডেস্ক
শহর ঢাকা মানেই ধুলি আর ধোয়া, কার্বন আর শীসা। এসব বাতাসে মিশে প্রতি বছরই বায়ু দূষণের পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে। বায়ু দূষণের কারণে ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট তো বটেই, বাজির কার্বন ও সালফারের দূষণে ক্ষতি হয় ত্বক ও চোখেরও।
যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া, নানা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার, আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন—সবই বায়ু দূষণের পারদ চড়াচ্ছে হু হু করে। তাই দূষণের হাত থেকে শরীরকে বাঁচানোর চেষ্টা সারা বছরই জারি রাখা উচিত।
কেবল মাস্ক ব্যবহার বা গাছ লাগানোই শেষ কথা নয়, এগুলোর সঙ্গে সঙ্গে রাখুন কিছু প্রয়োজনীয় পানীয়। এগুলো শরীরের টক্সিন দূর করে শরীরকে অনেকটাই দূষণমুক্ত রাখে। এর উপাদানও সহজলভ্য এবং বানানোর পদ্ধতিও খুব একটা সময়সাধ্য নয়। জেনে নিন দূষণ প্রতিরোধে সেরা কয়েকটি পানীয়ের হদিশ।
- একটি গ্লাসে পানির সঙ্গে আখের গুড় ও তেঁতুলের ক্বাথ মেশান। আখের গুড়ে দূষণ প্রতিরোধী ক্ষমতা থাকে। তেঁতুলও প্রাকৃতির ভাবেই শরীরে অম্লের ভাগ বেশি রাখে। এই দুইয়ের মিশ্রণে যে পানীয় তৈরি হয় তা শরীরে টক্সিন সরায়।
- পানির মধ্যে কয়েকটা তুলসীপাতা, পিষে নেওয়া আদা ও দু’ চামচ আখের গুড় মেশান। এই মিশ্রণ খানিক ক্ষণ ফুটিয়ে দু’বেলা খালিপেটে গরম গরম খান। তুলসী প্রাকৃতিক ভাবেই জীবাণুনাশক ক্ষমতার অধিকারী। গুড়ও দূষণ রুখতে ওস্তাদ। তাই এই পানীয় খুবই কার্যকর।
- পানিতে একটা গোটা পাতিলেবু, এক চামচ মধু ও এক চিমটে নুনের মিশ্রণ শরীরের টক্সিন দূর করতে পারা পানীয়দের মধ্যে অন্যতম সেরা। সব ক’টি উপাদানের মধ্যেই অ্যান্টিটক্সিন থাকায় শরীরে প্রবেশ করা দূষণের সঙ্গে লড়তে সক্ষম। শ্বাসজনিত সমস্যা দূর করা তো বটেই সঙ্গে ব্রঙ্কাইটিসের কষ্টও অনেকটা লাঘব করে এই পানীয়।
- দুধের মধ্যে তুলসী পাতা ও হলুদ মিশিয়ে সেই পানীয় ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। হলুদ প্রাকৃতিকগত ভাবেই অ্যান্টিসেপ্টিক, তুলসী পাতার মধ্যেও জীবাণু রোধের ক্ষমতা আছে। শরীরের টক্সিন দূর করার পাশাপাশি এই পানীয় শ্বাসনালীর পথ পরিষ্কার করে শ্বাসপ্রশ্বাসের পথকে বাধাহীন করে তোলে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
প্রচ্ছদ ছবির উৎস : বিবিসি বাংলা