লাল না সবুজ কোন আপেল খাবেন?
- স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপেল পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। কথায় আছে, এই ফলে এতটাই পুষ্টি গুণ আছে যে নিয়মিত আপেল খেলে চিকিৎসকের প্রয়োজন হবে না। বাজারে দুরকমের আপেল পাওয়া যায়। সবুজ ও লাল। কেউ লালটা খেতে ভালোবাসেন, কারও আবার পছন্দ সবুজ আপেল।
লাল ও সবুজ আপেলের মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। সবুজ আপেল বা গ্রিন অ্যাপেলের খোসা মোটা হয়, টক স্বাদের হয়। তাই এটা খেতে লাল আপেলের থেকে আলাদা, একটু মচমচে হয়। অন্য দিকে, লাল আপেল বিভিন্ন ধরনের হয়, বেশিরভাগেরই খোসা পাতলা ও রসালো হয়। পাশাপাশি লাল আপেল স্বাদেও মিষ্টি হয়। কেউ যদি মিষ্টি পছন্দ না করেন তাহলে সবুজ আপেল খেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পেকটিন, ফ্ল্যাভনয়েড থাকায় এটি সেলকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়া স্বাদে সুস্বাদু এই ফলটি হৃদরোগের জন্যও ভালো। নিয়মিত এই ফল খেলে হজমশক্তি ভালো হয়, লিভার ভালো থাকে। আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও পেকটিন থাকায় এটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়।
সবুজ আপেল ভিটামিন এ, বি, সি, ই ও কে পাওয়া যায়। লাল আপেলের থেকে বেশি আয়রন পাওয়া যায়। এতে পটাশিয়াম ও প্রোটিনও বেশি পরিমাণে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে চাইলে লাল আপেলের পরিবর্তে সবুজ আপেল খেতে পারেন। অন্য দিকে, লাল আপেলে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যাদের ডায়েটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রয়োজন, তারা লাল আপেল খেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাল ও আপেলের পুষ্টিগুণ বিবেচনা করলে লাল আপেলের চেয়ে সবুজ আপেল সামান্য এগিয়ে থাকবে। কিন্তু বাকি সব ক্ষেত্রেই এক। দুটি আপেলই শরীর ভালো রাখতে সহায়তা করে।
সূত্র: সমকাল