শীতে কমলা খাওয়া কেন জরুরি
- স্বাস্থ্য ডেস্ক
শীতে জনপ্রিয় ফলের মধ্যে অন্যতম কমলা। স্বাদে অনন্য হওয়ায় এটি অনেকেরই পছন্দের ফল। তবে স্বাদের পাশাপাশি ফলটি পুষ্টিকরও বটে। নিয়মিত এই ফল খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: শীতে অনেকেরই ঠান্ডা-সর্দি ও নানা ধরনের সংক্রমণ বাড়ে। কমলায় থাকা ফাইটোনিট্রিয়েন্টস, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে ঠান্ড-সর্দিসহ নানা ধরনের অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ত্বক এবং চুলের জন্য ভালো: কমলা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি’য়ের প্রায় ১২০ শতাংশ সরবরাহ করে। কমলায় থাকা ভিটামিন সি শরীরে কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে, যা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অতি প্রয়োজনীয়। এ ছাড়া কমলায় থাকা ভিটামিন এ চুল সতেজ রাখে। শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং মসৃণ চুল পেতে নিয়মিত কমলা খেতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালগুলির কারণে ত্বকের ক্ষতি রোধ করে। কমলা খোসা ফেস মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করলে ব্রণ থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকে।
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে: কমলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন বি ছিক্স, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া কমলা শরীরে আয়রন শোষণ ব্যবস্থা উন্নত করে এবং ভিটামিন বি ছিক্স হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বাড়ায়। কারো শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে তা পূরণে নিয়মিত কমলা খেতে পারেন। এছাড়া কমলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে।
হজমশক্তি বাড়ায়: কমলায় দ্রবণীয় এবং দ্রবীভূত উভয় ধরনের ফাইবার থাকায় এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কমলায় থাকা দ্রবণীয় ফাইবার হজমে সহায়তা করে। নিয়মিত কমলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
সহজ নাস্তা: সকালের নাস্তায় অন্যান্য খাবারে সঙ্গে কমলা রাখতে পারেন। এটি কাটতে হয় না। খোসা ছাড়ানোও বেশ সহজ। কমলায় কোনো ধরনের ফ্যাট ও সোডিয়াম থাকে না। সামান্য পরিমাণে ক্যালরি থাকে। সকালে বাড়িতে কিংবা দিনের যেকোন সময় কাজের ফাঁকে ফলটি খেতে পারেন। কমলায় ফাইবার থাকায় এটি দীর্ঘ সময় পেট পূর্ণ রাখতে সহায়তা করে। সে হিসেবে এটি ওজন কমাতেও বেশ উপকারী।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে কমলার খোসা ফলের চেয়েও বেশি উপকারী। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে। হজমের জন্যও উপকারী কমলার খোসা। এছাড়া এটি অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, দুর্গন্ধ কমাতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে কমলার খোসা।
কীভাবে সংরক্ষণ করবেন কমলার খোসা
সারা বছর কমলার খোসা ব্যবহার করতে প্রথমে এগুলো পানিতে সিদ্ধ করুন। এরপর নারকেল, তেঁতুল, গুড়, গোল মরিচ এবং লবণ ব্যবহার করে চাটনি তৈরি করুন। এটি খেতে ভালো, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর। এছাড়া কমলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়া বানিয়েও সংরক্ষণ করতে পারেন।
সূত্র: এনডিটিভি