টুইন টাওয়ারে হামলার ভাবনা এলো যেভাবে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৯৯ সালে ‘ইজিপ্ট এয়ারে’র একটি ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস থেকে মিসরের কায়রো যাচ্ছিল। পথে ২১৭ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি আটলান্টিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়। এর মধ্যে ১০০ জনই ছিলেন মার্কিন নাগরিক। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার মূলে ছিলেন মিসরীয় কো-পাইলট জামিল আল বাতাউতি।
এর কিছুদিন পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের কামরায়। ওসামা বললেন, ‘আরে সে (পাইলট জামিল) বিমানটি নিয়ে কাছাকাছি কোনো ভবনে পড়ল না কেন?’
এভাবেই আল-কায়েদার মাথায় এলো নতুন পরিকল্পনা। সারা বিশ্ব সে পরিকল্পনার প্রতিফলনই দেখছে ২০০১ সালে। নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলে পড়ল বিমান।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ম্যাগাজিন আল মাসরাহতে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ‘সেপ্টেম্বর ১১ অ্যাটাকস- দ্য স্টোরি আনটোল্ড’ নামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসরীয় পাইলটের ওই কাণ্ডে উৎসাহিত হয় আল-কায়েদা ও তাঁদের নেতা ওসামা বিন লাদেন। বিষয়টি আল-কায়েদার নেতারাই দাবি করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ওসামা বৈঠক করেন খালিদ শেখ মোহাম্মদের সঙ্গে। নাইন ইলেভেন কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টুইন টাওয়ারে হামলার মূল নকশাকারী হচ্ছেন খালিদ শেখ। বৈঠকে ওসামাকে তিনি নিজের একটি পরিকল্পনার প্রস্তাব করেন। খালিদের ইচ্ছে ছিল, মার্কিন বিমান ধ্বংস করা। এ নিয়ে তিনি বেশ আগে থেকেই কাজ করছেন। একই সঙ্গে ১২টি মার্কিন বিমান ফেলে দেওয়ার মতো কাজ তিনি শুরুও করেছিলেন।
পরে কিন্তু ওসামা আর খালিদের যৌথ পরিকল্পনাতেই টুইন টাওয়ারে হামলাটি হয়। মার্কিন বিমানই ধ্বংস হয়, যা আছড়ে পড়ে মার্কিন দম্ভ টুইন টাওয়ারে।