চলে গেলেন নাসার নভোচারী এডগার মিচেল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাসার নভোচারী হয়ে চাঁদে গেলেও তিনি বিশ্বাস করতেন আমাদের এই পৃথিবীতে এসেছিলেন ভিনগ্রহের বাসিন্দারা। যার কথা বলছি তিনি মার্কিন নভোচারী এডগার মিচেল।
ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচের একটি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন মিচেল।তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।নাসার পাঠানো মহাকাশযান অ্যাপোলো ১৪ তে করে ১৯৭১ সালে মিচেল চাঁদে যান। চাঁদে হাটা ৬ষ্ঠ মানুষ হিসেবে জায়গা করে নেন ইতিহাসের পাতায়। ৯ ঘন্টারো বেশি সময় তিনিউপ গ্রহটিতে থাকেন।তবে ঠিক পরের বছর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ত্যাগ করেন মিচেল। স্থাপন করেন ইনিস্টিটিউট অব নিউটিক সায়েন্স। মনের না জানা বিষয় নিয়ে পড়াশোনায় মন দেন তিনি। চাঁদে হাটা ৬ষ্ঠ মানুষটি তবুও আলোচনায় আসেন বারবার। অ্যাপোলো-১৪ অভিযানে ব্যবহৃত ২টি ডেটা অ্যাকুইজিশন ক্যামেরার ১টি কাছে রাখায় দায়ে মিচেলে বিরুদ্ধে মামলা করে নাসা।
এছাড়া, তার ভীনগ্রহের তত্ত্ব তো আছেই। তিনি দাবি করতেন, আমেরিকা ও রাশিয়ার মাঝে প্রায় বেঁধে যাওয়া পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকিয়ে পৃথিবীকে বাঁচাতে এসেছিলো ভিনগ্রহের শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা। ১৯৪৫ সালে আমেরিকার হোয়াইট স্যান্ডে বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
মিচেলের দাবি, সেসময় ঘটনাস্থলের আশপাশে আকাশে আশ্চর্য সব উড়ন্ত বস্তু দেখা যায়। এমনকি পৃথিবীতে যখনই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তখনই দেখা মিলেছে তাদের। তিনি এটাও বলতেন, ভীনগ্রহবাসীরা আমাদের সামরিক শক্তি সম্পর্কেও আগ্রহী। শুধু তাই নয়,শান্তিময় একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে বরাবর তাদের আগমন ঘটেছে। যদিও সরাসরি না হলেও এসবে দ্বিমত প্রকাশ করেছে মার্কিন সরকার।