নির্বাচন সামনে রেখে ঐক্যের ডাক সু চি’র
নিউজ ডেস্ক: রাখাইন রাজ্যে গিয়ে গতকাল জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি। তাঁর এই নির্বাচনী সফরে সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে বিপর্যস্ত রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। সংবাদ রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসি।
সু চি স্থানীয় থ্যানদোয়ে শহরে সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ধর্মীয় ও জাতিগত বঞ্চনা থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করাটা জরুরি। দেশের সব মানুষকে এক হতে হবে। পরস্পরের প্রতি ঘৃণা ও ভীতি কখনো সুফল বয়ে আনে না।
২০১২ ও ২০১৩ সালে রাখাইন রাজ্যে কট্টর বৌদ্ধরা স্থানীয় মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর অমানুসীক নির্যাতন চালায়। তবে গতকাল সু চি সেই দাঙ্গা নিয়ে কোনো কথা বলেননি। বরং দীর্ঘদিনের মত গতকালও নীরব থেকে সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের না চটিয়ে ভোটের পায়দা পাওয়ার কৌশল অবলম্বন করেছেন।ইতিপূর্বে কট্টরপন্থী বৌদ্ধরা রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি নিপীড়ন চললেও দীর্ঘদিন নীরব থেকে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়েন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই নেত্রী। এখন পর্যন্ত সেখানে নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে মুসলিমরা।
গতকাল সু চি’র সমাবেশে থ্যানদোয়ে শহর এবং আশপাশের গ্রামগুলো থেকে হাজার হাজার মুসলিম যোগ দেয়। ক্ষমতায় এলে সু চি’র দল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য দূর করতে কী ধরণের পদক্ষেপ নিবে, এক মুসলিমের করা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাঁর দল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।’ অপর এক বৌদ্ধ ব্যাক্তি মন্তব্য করেন, এমন খবর রটেছে যে তাঁর দল ক্ষমতায় এলে মুসলিমরা দেশের ক্ষমতা পাবে! জবাবে সু চি যোগ করেন, এমন প্রশ্ন জাতিগত ও ধর্মীয় সহিংসতাকে উসকে দেয়।
উল্লেখ্য, সমাবেশে যোগ দেওয়া মুসলিমদের একটা বিরাট অংশ সু চি’র প্রতি সমর্থন জানালেও তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পক্ষ থেকে কোন মুসলিমকে নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন সু চি’র দল এনএলডি থেকে মোট ১ হাজার ১০০ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।