মিয়ানমারে সু চি’র বিজয়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কাছে পরাজিত হওয়ার বিষয়টি আজ সোমবার মেনে নেন সামরিক জান্তা-সমর্থিত ইউএসডিপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতেয় ও। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমরা হেরে গেছি।’
তবে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। নির্বাচনে বড় সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির এনএলডি। মিয়ানমারে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সাধারণ নির্বাচনে গতকাল রোববার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় গণনা। ভোট গণনা এখনো চলছে। প্রাথমিক ফলাফল আজ প্রকাশ করা হতে পারে বলে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গণতন্ত্রীপন্থী নেত্রী হিসেবে পরিচিত অং সাং সু চি মিয়ানমারকে দীর্ঘদিনের সেনা শাসনের বলয় থেকে কীভাবে মুক্ত করেন, তা দেখতে চাই বিশ্ববাসী। তবে এনএলডিপি জিতলেও দেশটির সংবিধানের একটি ধারা অনুযায়ী সু চি নিজে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না – কারণ, স্বামী ও দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক। এই আইন পরিবর্তন করার পথেও প্রধান বাধা আসবে সামরিক বাহিনীর দিক থেকেই। সু চি অবশ্য ঘোষণা দিয়েছেন, তার দল ক্ষমতায় আসলে তিনি প্রেসিডেন্টের চেয়েও বড় কিছু হবেন।
এই নির্বাচনে ৯০টির বেশি দল থেকে ৬ হাজারের বেশি প্রার্থী অংশ নেন। নির্বাচনের পরে দেশ পরিচালনা করেই হবে এনএলডির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে করা হচ্ছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে চলা অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময়ের সামরিক শাসনের অবসান ঘটবে।