এশিয়ায় জনপ্রিয় হচ্ছে ই-কমার্স
মারুফ ইসলাম : এশিয়া অঞ্চলের অনলাইন মার্কেটের ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফরেস্টার। প্রতিষ্ঠানটি তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর অনলাইন থেকে রাজস্ব আয় দ্বিগুণ হবে। ২০১৫ সালে এই দেশগুলোর অনলাইন থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৭৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফরেস্টার মনে করছে ২০২০ সালে এই খাত থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ হবে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী পাঁচ বছরে এ অঞ্চলে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা আরও জনপ্রিয় হবে।
ফরেস্টারের প্রধান প্রতিবেদক ও ই-ব্যবসায় বিশ্লেষক লিলি ভ্যারন ফরেস্টার ব্লগে লিখেছেন, অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও চীনে ই-কমার্স ব্যবসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর ছিল চীনাদের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। ওই বছর বিস্ময়করভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে চীন বিশ্বের মধ্যে সবচেয় বড় ই-কমার্স মার্কেট হিসেবে আবির্ভূত হয়্। স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, ২০০৯ সালেও চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ শতাংশের কম। কিন্তু পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটি ই-কমার্স ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়ে। ফলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একটি স্থিতিশীর অবস্থায় এসেছে। এমনকি বিশ্ববাজারে তারা জাপান ও কোরিয়ার সমকক্ষ হয়ে উঠেছে।
ভ্যারন তাঁর ব্লগে আরও লিখেছেন, এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ভারতে খুব দ্রুত ই-কমার্স ব্যবসার বিস্তৃতি ঘটছে। ভারতের মানুষরা অনলাইনে কেনাকাটায় বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এই দেশে অনলাইনক্রেতার সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। অনুন্নত কারিগরী ব্যবস্থা ও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নগদ আদান-প্রদান সংস্কৃতির বিপরীতে এটা সত্যিই এক বিরাট অর্জন।
অন্যদিকে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ই-কমার্স মার্কেট বেশ শক্তিশালী। এর পেছনে কারণ হচ্ছে, দেশগুলোতে কারিগরি ব্যবস্থা বেশ উন্নত। যেমন, এদের রয়েছে উচ্চগতির ইন্টারনেট, বিপুল সংখ্যক অনলাইন শপ এবং অনলাইনখাতে উচ্চ বাজেট।
ইংরেজি থেকে অনুদিত।
উৎস : ফাইবার টু ফ্যাশন ।