মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হলেন এইচতিন কিয়াও
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অং সান সুচির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এইচতিন কিয়াওকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে মিয়ানমারের সংসদ। এতে করে অর্ধ শতাব্দিরও বেশি সময় পর দেশটির সর্বোচ্চ আসনে বসলেন একজন বেসামরিক নেতা।
আজ (১৫ মার্চ) মায়ানমারের সংসদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। গত বছর নভেম্বরে দেশটির জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পাওয়া এনএলডি সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে এইচতিন কিয়াওয়ের নাম প্রস্তাব করে।
এইচতিন কিয়াও ছাড়াও সংসদের উচ্চকক্ষে এনএলডি হ্যানরি ভ্যান এইচতি ইউয়ের নাম প্রস্তাব করে। আর সেনা ব্লক থেকে মাইন্ত সুইয়ের নাম প্রস্তাব করা হয়।
বিজেতা দুই প্রার্থী এখন মায়ানমারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হ্যানরি ভ্যান এইচতি ইউ সংখ্যালঘু চীন সম্প্রদায়ের নেতা। ফলে মায়ানমারের জনগণ এই প্রথম একজন সংখ্যালঘু নেতাকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেল। সেই সঙ্গে মাইন্ত সুইয়ের কারণে সরকারের অংশীদারিত্বে রয়ে গেল সেনাবাহিনীও।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে দলীয় সভানেত্রী সুচি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে পারেননি। মায়ানমারের ২০০৮ সালের সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি কাউকে বিয়ে করলে বা সন্তানরা বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে সেই ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। সুচির দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যাপারে তিনি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় পড়ে গেছেন।
তবে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালেই সুচি ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হতে না পারলে, তার চেয়েও বড় কিছু হয়ে তিনি দেশ পরিচালনা করবেন। এইচতিন কিয়াওকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে তিনি তার এ ঘোষণারই বাস্তবায়ন করলেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।