ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় উদ্যোক্তারা
- অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক
ওয়ার্ক ভিসার ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের বিধিনিষেধ আরোপে সংকটের মুখে পড়েছে ভারতীয় আইটি কোম্পানিগুলো। সম্প্রতি মার্কিন সরকারের তথাকথিত স্টার্টআপ ভিসার বিলম্বের ঘোষণায় ভারতীয় উদ্যোক্তাদের ওপর খড়্গ নামতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের। জানুয়ারিতে এ ভিসা প্রোগ্রামের অনুমোদন দেয় বারাক ওবামা প্রশাসন। সে সময় বিদেশী উদ্যোক্তা যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায় শুরু করেছিল, তাদের দেশটিতে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। ১৭ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। খবর: ইকোনমিক টাইমস।
ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসি (এনএফএপি) অনুযায়ী, মার্কিন স্টার্টআপের অর্ধেকেরও বেশি শুরু হয়েছে অভিবাসীদের হাতে, যার আঙ্কিক মূল্য ১০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ভারতীয় অভিবাসীদের হাতে শুরু হওয়া ব্যবসার ভাগ প্রায় ৩০ শতাংশ।
এদিকে স্টার্টআপ ভিসা বিলম্বের ঘোষণাকে ‘মৃত মস্তিষ্ক’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন ভারতীয়-আমেরিকান প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্যোক্তা বিবেক বোদ্ধা। তিনি বলেন, ‘সন্দেহ নেই যে, মার্কিন কর্মযজ্ঞ ও অর্থনীতির বিস্তার হয়েছে উদ্যোক্তাদের হাত ধরেই। অথচ স্টার্টআপ ভিসা নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও উদ্যোক্তা, যারা এখানে আসতে চাইবে— উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ এর মধ্য দিয়ে প্রত্যেকেরই লাভবান হওয়ার সুযোগ ছিল।’
বোদ্ধা সিলিকন ভ্যালির কারনেগি মেলন ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ফেলো হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে ভারতের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশ লাভবান হতে পারত। কিন্তু ট্রাম্প সরকারের এ নীতি মৃত মস্তিষ্ক বৈ কিছু নয়। ট্রাম্প সরকার মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার পরিবর্তে অভিবাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
এনএফএপির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৪ জন ভারতীয় উদ্যোক্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি শুরু করেছেন, যা সমষ্টিগতভাবে ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার সমমূল্যের। ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ নিয়ে শুরু করা মোট ৮৭টি স্টার্টআপ কোম্পানিতে জরিপ চালিয়েছিল এনএফএপি। ওবামা প্রশাসন মূলত সেসব প্রতিভাকে নিজ দেশে ধরে রাখতে চেয়েছিল, যারা পড়াশোনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেয় এবং দেশে ফিরে গিয়ে সফল ব্যবসায়ী হয়ে ওঠে।