চীনে রপ্তানি বাড়াতে ই-কমার্সের উপর জোর দেওয়ার তাগিদ
- অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেছেন, চীনের বাজারে ই-কমার্সের মাধ্যমে জুয়েলারি, কাঠ ও মাটির তৈরি তৈজসপত্র, চিত্রকর্ম, ফ্যাশন বিষয়ক পণ্য সামগ্রী প্রভৃতি বাজারজাতকরণের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের উদ্যোমী এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের এ সুযোগ গ্রহণ করে পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তিনি চীনের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল সমূহে আরোও বেশি হারে বিনিয়োগ করার আহবান জানান। গতকাল সোমবার ডিসিসিআই এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের (আইটিসি) যৌথভাবে আয়োজিত “ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনে রপ্তানি বৃদ্ধি” বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ নিযুক্ত চীন দূতাবাসের ইকোনোমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিল লি গুয়াংজুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ই-কমার্সের ব্যবহার বাড়ালে বাংলাদেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের চীনের বাজারে পণ্য রপ্তানি বাড়তে পারে। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ১০০ ভাগ। অর্থনীতির ধারাকে আরোও বেগবান করার জন্য চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বাড়াতে হবে। লি গুয়াংজুন বলেন, ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চীন পৃথিবীর বৃহত্তম বাজার। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনের বাজারে নিজেদের উত্পাদিত পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারে। তিনি জানান, চীন সরকার এলডিসিভুক্ত দেশ থেকে চীনের বাজারে পণ্য রপ্তানির বিষয়টিকে উত্সাহিত করে থাকে এবং এ জন্য চীনে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। তিনি আরোও জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমান ছিল প্রায় এক হাজার ৫শ কোটি মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশ প্রায় ৯০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং প্রতিবছর চীনের বাজারে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বাড়ছে। গুয়াংজুন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ “এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আপটা)”-এর আওতায় চীনে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়।