অনলাইনে অ্যানা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অ্যানা ফ্রাঙ্কের বিখ্যাত ডায়েরি অনলাইনে প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের একজন শিক্ষাবিদ পার্লামেন্ট সদস্য ইসাবেল অটার্ড। এখন থেকে বইটি বিনামূল্যে ডাউনলোড পারবেন সবাই। সংবাদ : এএফপি।
বিখ্যাত এই বইটি জনগণের সম্পদ কি-না, এ নিয়ে স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে বিরোধ সত্ত্বেও এটি প্রকাশ করা হলো। ডাচ ভাষায় ফ্রাঙ্কের মূল ডায়েরিটি শুক্রবার অনলাইনে প্রকাশ করেন ফ্রান্সের পার্লামেন্ট সদস্য ইসাবেল অটার্ড। তিনি গ্রিন পার্টির সদস্য। প্রকাশের সঙ্গে জড়িতদের দাবি, ফ্রাঙ্কের মৃত্যুর পর ৭০ বছর পার হয়েছে। তাই এটি এখন জনগণের সম্পদ। ইউরোপের ১৯৯৩ সালের আইন অনুযায়ী, কোন বইয়ের লেখক কিংবা লেখকদের মৃত্যুর সাত দশক পর বইয়ের বিশেষ কপিরাইট আর থাকে না।
অ্যানা ফ্রাঙ্ক ১৯৪৫ সালে বার্গেন-বেলসেন কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে ১৫ বছর বয়সে মারা যান। আমস্টার্ডামে অ্যানা ও তার পরিবার ১৯৪২ সালের জুন থেকে ১৯৪৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত পালিয়ে ছিলেন। এ সময় তার জীবনকাহিনী ধারাবাহিকভাবে ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করেন অ্যানা। ১৯৪৭ সালে ডাচ ভাষায় এই ডায়েরি প্রথম প্রকাশ করেন অ্যানার বাবা। প্রকাশকালে তিনি ডায়েরির কিছু অংশ মুছেও ফেলেন। প্রকাশের পরপরই ডায়েরিটি তিন কোটি কপিরও বেশি বিক্রি হয়।
সুইজারল্যান্ডের বাসেলভিত্তিক ‘দ্য অ্যানা ফ্রাঙ্ক ফান্ড’ ডায়েরিটির স্বত্বাধিকারী। তারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ডায়েরিটি প্রকাশ করা হলে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়ে এরইমধ্যে তারা একটি চিঠি পাঠিয়েছে। ফান্ড বলছে, এটি একটি মরণোত্তর প্রকাশনা। ফলে এটির প্রথম প্রকাশ থেকে এর কপিরাইটের মেয়াদ আরও ৫০ বছর বেড়ে যাবে। সে অনুযায়ী, এর কপিরাইটের মেয়াদ শেষ হবে ২০৩৭ সালে।
ফান্ডের বিরোধিতার সমালোচনা করে ফরাসি এমপি ইসাবেল বলেন, ‘ডায়েরিটি জনগণের সম্পদে পরিণত হলে এর লেখক আরও বেশি সুপরিচিত হবেন।’
এর আগে ইউনিভার্সিটি অব নানতিসের প্রভাষক অলিভার এর্সসিড অক্টোবরে ডায়েরিটির দুটি ফরাসি সংস্করণ তার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন। পরে আইনি নোটিস পাওয়ার পর এটি সরিয়ে নেয়া হয়।