অদ্ভূত সব নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলিতে কোনও না কোনও কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সে দেশের সরকার। কোথাও সিনেমা, কোথাও বই, কোথাও বা রীতিনীতির উপর রাশ টানা হয়। তেমনই কয়েকটি নিষেধাজ্ঞার নমুনা তুলে ধরা হল এখানে।
১। বেআইনি অভিযোগ তুলে ২০০২ সালে গ্রিসে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় ভিডিও গেম। বৈদ্যুতিন জুয়ার সাম্রাজ্যকে ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা নেয় সরকার।
২। রেকর্ড করা গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলানো যাবে না। সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয় তুর্কমেনিস্তানে। পাশাপাশি, অপেরা এবং ব্যালে-র উপরও ফতোয়া জারি করা হয়।
৩। চুয়িং গাম খেয়ে যত্রতত্র ফেলার কারণে যথেষ্ট নোংরা হয় রাস্তা। পরিষ্কার করতেও খরচ হয় প্রচুর। তাই সিঙ্গাপুরে ২০ বছর আগে চুয়িং গাম বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
৪। পুরুষদের পনিটেল কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এমনকী চুলে স্পাইকও করা যাবে না। পশ্চিমা সংস্কৃতিকে দূরে রাখতে এই ধরনের ফতোয়া জারি করেছে ইরান।
৫। নীল রঙা জিন্স প্যান্ট পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে উত্তর কোরিয়া। সরকারের যুক্তি এটা নাকি আমেরিকাতেই শোভা পায়!
৬। এক গ্লাসের বেশি মদ্যপান করতে পারবেন না বিবাহিত মহিলারা। কারণ বেশি মদ খেলে নাকি স্বামীরা তাঁদের ডিভোর্স দিতে পারেন। এই ফতোয়া জারি করা হয় বলিভিয়াতে।
৭। সস নাকি যেকোনও সুস্বাদু ডিশের স্বাদই নষ্ট করে দেয়। তাই কোনও ভাবেই খাওয়া বা ব্যবহার করা যাবে না সস! এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ফ্রান্সে।
৮। গরম গরম সিঙাড়া দেখলে কার না জিভে জল গড়ায়! কিন্তু এই সিঙাড়ার উপর যদি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তা হলে কেমন হবে? তবে সোমালিয়াতে কিন্তু সিঙাড়া চাইলেও পাবেন না। সিঙাড়ার আকার নাকি সেখানকার ধর্মীয় রীতিকে আঘাত করে।
৯। আমরা সন্তান জন্মানোর আগেই ঠিক করে ফেলি তাদের নাম। এখন তো নাম নিয়েও যেন র্যাট রেস বাবা-মায়েদের মধ্যে। কিন্তু যদি এমনটা হয়, সরকার ঠিক করে দেবে আপনার সন্তানের নাম! তা হলে? অবাক হচ্ছেন তো! এ রকমই ব্যবস্থা করেছে ডেনমার্ক। সরকারের বাছাই করা ২৪ হাজার নাম আছে। তার মধ্য থেকেই বেছে নিতে হবে সন্তানের নাম। যদি এই তালিকার বাইরে কেউ নাম রাখতে চান, তা হলে সরকারের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে।