ইসলামিক রিলিফের সঙ্গে লেনদেন করবে না এইচএসবিসি
নিউজ ডেস্ক : মুসলিম দাতব্য সংস্থা ইসলামিক রিলিফের কার্যক্রম ‘আইনগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ’ উল্লেখ করে সংস্থাটির সঙ্গে সব ধরনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি । ফলে, এইচএসবিসি এখন আর কোনো মুসলিম দাতব্য সংস্থার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকল না। সংবাদ : বিবিসি ও আল-জাজিরা।
গতকাল (৪ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ইসলামিক রিলিফের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এইচএসবিসি দাতব্য সংস্থাটিকে জানিয়েছে, সংস্থাটির কার্যক্রম ‘আইনগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। আর এটিকেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দাতব্য সংস্থাটির সাথে ব্যাংকিং সম্পর্কের ইতি টানার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু মুসলিম দাতব্য সংস্থাকে সন্ত্রাসের মদতদাতা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। এর মধ্যে কিছু সংস্থা যুক্তরাজ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আর এসব সংস্থার আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দিতে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য প্রেরণ করে।
ইসলামিক রিলিফের যুক্তরাজ্য শাখার পরিচালক ইমরান মাদেন বলেন, ‘২০১৪ সালে এইচএসবিসি আমাদের জানিয়েছে, আমাদের সংস্থার কাজের ধরনের জন্য দুইপক্ষের ব্যাংকিং সম্পর্ক বজায় রাখা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তখন তারা আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানায়। আমরা এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে তারা গত বছরের শেষে সম্পর্কচ্ছেদ করে।’
এইচএসবিসির মাধ্যমে ইসলামিক রিলিফ যাদের সঙ্গে লেনদেন করে ব্যাংকটি মাসের পর মাস তাদের বিল আটকে রেখেছে। আর এজন্য সংস্থাটি নেপাল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য তাবু কিনতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
এইচএসবিসি ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, ‘গোপনীয়তা নীতির কারণে কোনো গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করা থেকে ব্যাংক বরাবরই নিজেকে বিরত রাখে। তবে গ্রাহকের ধর্ম বা বর্ণের উপর ভিত্তি করে ব্যাংক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না।’
তবে ইসলামিক রিলিফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এইচএসবিসি ব্যাংকের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেবে না। এইচএসবিসি ছাড়াও অন্যান্য ব্যাংকে আরো বেশি টাকার লেনদেন হয় তাদের।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেও এইচএসবিসি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন মুসলিম দাতব্য সংস্থার ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে দেয়।