বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকাসহ সারা পৃথিবীতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গতকাল (১ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির এক জরুরি বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান। সংবাদ : রয়টার্স।
স্বাস্থ্যবিষয়ক এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সংস্থাটি বলেছে, মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পুরো বিশ্বকে এক হয়ে চেষ্টা চালাতে হবে। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে মার্গারেট চ্যান বলেন, ‘আর অপেক্ষা করার সুযোগ নেই। ভয়ংকর এই ভাইরাসকে না ঠেকালে তা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়বে।’
বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলেও ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজন এখনো আসেনি বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে জিকা ভাইরাসে গর্ভবতী নারীদের ক্ষতির মাত্রা বেশি থাকায় আক্রান্ত এলাকায় গর্ভবতী নারীদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন মার্গারেট চ্যান।
চ্যান জানান, বর্তমানে জিকা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বাজারে নেই। এ ছাড়া এই ভাইরাস ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষাও কঠিন।
এদিকে, গবেষণা সংস্থা দ্য প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, এরই মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ২৪টি দেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আর এতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। গত অক্টোবর থেকে মাত্র তিন মাসে শুধু ব্রাজিলেই এই ভাইরাসের কারণে ৪০ হাজার শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোনো গর্ভবতী মা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁর অনাগত শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হতে পারে এবং ওই শিশুর মস্তিষ্কের গঠন থাকতে পারে অপূর্ণ।
এর আগে সর্বশেষ পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সে বছর ইবোলায় বিশ্বব্যাপী প্রায় ১১ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। সেই ইবোলার মতো সমপর্যায়ের সতর্কতা জারি করে জিকা ভাইরাস মোকাবিলাকেও সমান গুরুত্বে আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।