এক হাজার বছর পর দেখা !
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খ্রিস্টান ধর্মের মূল ধারা পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার এক হাজার বছর পর রোমান ক্যাথলিক প্রধান পোপ ও রুশ অর্থোডক্স চার্চের প্রধান প্রথমবারের মতো মিলিত হয়েছেন।
গতকাল (১২ ফেব্রুয়ারি) কিউবার হাভানা বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঐতিহাসিক এক বৈঠকে মিলিত হন তারা। এ সময় পোপ ফ্রান্সিস ও রুশ অর্থোডক্সের প্রধান কিরিল কোলাকুলি ও পরস্পরকে চুম্বন করেন।
বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যে হামলার মুখে থাকা খ্রিস্টানদের রক্ষার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান এই দুই প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা।
এক যৌথ ঘোষণায় তারা বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অনেক দেশেই আমাদের খ্রিস্টান ভাইবোনদের পুরো পরিবার, গ্রাম ও শহর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বর্বর হামলায় তাদের গির্জাগুলো ধ্বংস ও লুট করা হয়েছে, তাদের পবিত্র বস্তুগুলোকে অবজ্ঞা করা হয়েছে এবং তাদের স্মৃতিসৌধগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।”
সিরিয়া ও ইরাক থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের জন্য বড় ধরনের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন উল্লেখ করে সেখানে ‘ব্যাপক হারে খ্রিস্টানদের দেশান্তরী’ হওয়ার ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেন।
ধর্মীয় দুই নেতার এই বৈঠক চলাকালে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিস গেল বছর কিউবা সফর করেছিলেন এবং তারই মধ্যস্থতায় কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাউল।
অপরদিকে কলম্বিয়া সরকার ও বামপন্থি বিদ্রোহীদের ৫০ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসানে দুপক্ষের শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কিউবা।
এবার খ্রিস্টান ধর্মের দুই ধারার প্রধানের মধ্যে মিলন ঘটানোর মধ্যস্থতাও করলো দেশটি। ‘এ ধারা বজায় রাখলে কিউবা মিত্রতার রাজধানীতে পরিণত হবে,’ বলেন ফ্রান্সিস।
ক্যারিবীয় দ্বীপগুলো পরিদর্শনে যাওয়া কিরিল ও মেক্সিকো সফরে যাওয়া পোপ ফ্রান্সিসের মধ্যে এ বৈঠকের কথা এক সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিল কমিউনিস্ট রাষ্ট্র কিউবা।