ক্যারিয়ার ফেস্ট-২০১৫ অনুষ্ঠিত
লিডারশিপ ডেস্ক: দেশের বিপুল সংখ্যক তরুণ, দক্ষ ও মেধাবী গ্র্যাজুয়েটদের চাকরি সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে অবসর প্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের সংগঠন রাওয়া এবং দেশের প্রথম জব পোর্টাল জবস্ বিডি ডট কম এর যৌথ উদ্যোগে গত ১৪ ও ১৫ নভেম্বর রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হয় ‘ক্যারিয়ার ফেস্ট ২০১৫’। এর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে ছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি)।
দুই দিনের এই মেলায় ছিল শিক্ষিত-তরুণ- দক্ষ এবং মেধাবী গ্র্যাজুয়েট এবং অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের ভীড়। তার সকলেই একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেছেন। সবার মধ্যেই ছিল একটু ব্যস্ততার চিহ্ন। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে সামনের দিকে যাচ্ছেন সবাই। দীর্ঘ লাইনের কারণ একটাই, আর তা হল ক্যারিয়ার ফেস্টে অংশ নেওয়া। রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে ‘ক্যারিয়ার ফেস্ট ২০১৫’-এর বাস্তব চিত্র ছিল এমনি। বিশ্ববিদ্যালয়, আইটি কোম্পানি, ব্যাংক, তৈরি পোশাক, বিল্ডার্স, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পরিবহন, বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানিসহ ৬০টি প্রতিষ্ঠান এতে অংশগ্রহণ করে।
কোন `দালাল বা মামু-খালু’র সাহায্য ছাড়াই উৎসবমুখর ছিল এই চাকরির হাট। এখানে যোগ্যতাই ছিল সব। কেউ চাকরি দিচ্ছেন, কেই পছন্দের চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। কেউ কেউ পছন্দের চাকরির জন্য ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিয়ে যাচ্ছেন।
দেশের বেকার ও যুবকদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রথম জব সাইট জবস্ বিডি ডট কম ও রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মত এ আয়োজন করা হয়।
১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ মেলা শেষ হলো গতকাল রবিবার সন্ধ্যায়। তবে আয়োজনটি ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় এ ধরনের উদ্যোগ আরো নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আয়েজকরা। এতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে ছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি)। মেলায় স্পনসর হিসেবে ছিল বাংলাদেশের বৃহৎ আইটি কোম্পানি আম্বার আইটি।
আম্বার আইটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তা এসএম অলি হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ক্যারিয়ার ফেস্ট আয়োজনের মাধ্যমে চাকরিদাতা এবং চাকরি গ্রহীতার মধ্যে একটি সেতু বন্ধন তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে দক্ষ লোককে উপযুক্ত জায়গায় সুযোগ দেওয়া যাবে। দুই দিনের আয়োজনে বায়োডাটা (সিভি) জমা পড়েছে অনেক, যা পরবর্তীতে বাছাই করে যোগ্যদের ডাকা হবে। পরে উপযুক্তদের চাকরিতে সুযোগ দেয়া হবে।
তবে মেলার প্রচারণা কম হওয়ায় অভিযোগ করেছেন চাকরি প্রার্থিরা। গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে এ মেলাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করা যেত বলে মন্তব্য করেছেন তারা। পাশাপাশি এ ধরনের আয়োজন আরও বেশি বেশি করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই।
অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের বিষয়ে আয়োজকরা জানান, দেশের সকল সেক্টরে চাকরির বয়সসীমা ৬২ হলেও সামরিক বাহিনীর অফিসারদের ৪৫-৫০ এর মধ্যে অবসরে যেতে হয়। এসব অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের কর্মমূখী করতেই এ উদ্যোগ।
জবস্ বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম হাসান রিপন জানান, এ মেলায় প্রায় ৫ হাজার সামরিক অফিসার, ৫০ হাজার গ্র্যাজুয়েট, ২০টিরও বেশি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১০০টির বেশি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করেছে। এ মেলা চাকরি প্রার্থীদের উত্তম সুযোগ তৈরীতে যেমন সহায়তা করেছে, তেমনি চাকরি দাতারাও উপযুক্ত প্রার্থী বেছে নিতে পেরেছে।