হতে চাই ফিচার লেখক
রবিউল কমল: দৈনিক পত্রিকা হোক কিংবা সাময়িকী, ফিচার ছাড়া তা যেন পূর্ণতাই পায় না। তাই দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রতিদিন থাকছে ফিচার পাতা। এমন কী মূল পাতায়ও প্রকাশিত হয় বিভিন্ন ফিচার। পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক এবং লিটলম্যাগগুলোতেও ফিচার থাকে নিয়মিত আর এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে অনলাইন মিডিয়া। তাই ফিচার লেখকের চাহিদা এবং গুরুত্ব দুটোই বাড়ছে দিনদিন।এক সময় ফিচার লিখে পরবর্তীতে ভালো সাংবাদিক হয়েছেন অনেকে। আজ আমরা জানব ফিচার সম্পর্কে।
ফিচার যে কোনো বিষয় নিয়ে হতে পারে। লেখার ক্ষেত্রে মূলত কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ফিচার হতে পারে যা দিয়ে আপনি লিখছেন অর্থাৎ কলম নিয়েও। হতে পারে খাতা, গাছ-পালা, পাখি, ঘর, মানুষ, পোশাক, বই, সংগঠন, ভালো কাজসহ বিভিন্ন বিষয়। আপনার চোখে যা পড়বে, তার সব কিছু নিয়েই হতে পারে আলাদা আলাদা ফিচার। এজন্য ফিচার লিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। আপনার চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
ছয়টি প্রশ্নের উত্তর:
ফিচার লিখতে হলে আপনার মনে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। কী, কে/কারা, কখন, কোথায়, কেন, কীভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে আপনাকে। একটা ফিচার লিখতে গেলে বিষয়টি সম্পর্কে উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর পেলে আপনার লেখাটি অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। যেমন আপনি যদি একটি বিষয় পছন্দ করেন, তাহলে বিষয়টি কী তা আগে জানতে হবে আপনাকে। বিষয়টি যদি ‘কলম’ হয়, তাহলে কে বা কারা এটা আবিস্কার করল, কখন থেকে এর ব্যবহার শুরু হলো, কোথায় এটি পাওয়া গেল বা ব্যবহার শুরু হলো, কেন হলো এবং কীভাবে হলো; এসব জানলে একটি ফিচার আপনার সামনে দাঁড়িয়ে গেল। এখন শুধু লেখা বাকি।
সমৃদ্ধ শব্দভাণ্ডার:
শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করাটাও জরুরি একটা বিষয়। যার শব্দভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ, সে তত ভালো ফিচার লিখতে পারবে। শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। পাঠ্য বইয়ের বাইরেও প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে।
সতর্কতা:
খেয়াল রাখতে হবে একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। শব্দের বাহুল্যদোষও ত্যাগ করতে হবে। লেখায় বানানের প্রতিও জোর দিতে হবে। লেখক হতে গেলে বানান সচেতনতা জরুরি। এক্ষেত্রে হাতের কাছেই রাখতে পারেন বাংলা অভিধান। অভিধান আপনাকে প্রচুর সহযোগিতা করবে।