২০০ রিয়ালের কর্মী সোলায়মান এখন ওমানের ২৬ প্রতিষ্ঠানের মালিক
কামরুল হাসান জনি: ২০০ রিয়ালের কর্মী এখন ওমানের ২৬ প্রতিষ্ঠানের মালিক। ১৯৯১ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে শ্রম ফেরি করতে পাড়ি জমান কাজী সোলায়মান। উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসার। কিন্তু অন্যের অধীনে ভিসা থাকায় কাজ করতে হয়েছে আবায়ার (বোরকা) টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানে। বেতন ধার্য ছিল মাসিক ২০০ রিয়াল।
আবায়া প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে শুরু তার প্রবাস জীবন। প্রথম থেকেই পরিশ্রম, উদ্যম ও ব্যবসা করার আত্নপ্রত্যয় সোলায়মানকে নিয়ে গেছে সফলতার উচ্চ শিখরে। যে প্রতিষ্ঠানের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে প্রবেশ তার, পরবর্তীতে সেই প্রতিষ্ঠানেরই মালিক হন তিনি।
‘ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে ওমান এলেও প্রথম থেকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। অন্যের অধীনে কাজ করলে যেমনটি হয়। কিন্তু আমি থেমে থাকিনি। বেতনের টাকা সঞ্চয় করি। দুই বছরের মাথায় যে প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলাম ওই প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেওয়ার সুযোগ পাই। এরপর পরিশ্রমের মাত্রা বাড়াই, সঙ্গে ধৈর্যও। একে একে বাড়াতে থাকি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।’
বাংলাদেশি অধ্যুষিত ও ওমানের ট্যুরিস্ট এরিয়া খ্যাত মাস্কাটের মাতরাসহ রুই, আল খোয়ের, মোবেলা, সুমাইল, মোবেলা সানাইয়া, কুরুম এলাকায় আল জাহারাত আল খায়ের গ্রুপের অধীনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে। আবায়া (বোরকা), রেডিমেড ও গার্মেন্টস সামগ্রীর এসব প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১৫০ জন কর্মী নিয়োজিত আছেন। যাদের সবাই বাংলাদেশি।
এছাড়াও দুবাইয়ের স্টার সুইং গ্রুপের সঙ্গেও আছে তার দুই কোটি টাকার মতো ব্যবসায়িক লেনদেন। সফলতার রহস্য জানতে কথা হয় আলহাজ কাজী সোলায়মানের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে ওমান এলেও প্রথম থেকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। অন্যের অধীনে কাজ করলে যেমনটি হয়। কিন্তু আমি থেমে থাকিনি। বেতনের টাকা সঞ্চয় করি। দুই বছরের মাথায় যে প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলাম ওই প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেওয়ার সুযোগ পাই। এরপর পরিশ্রমের মাত্রা বাড়াই, সঙ্গে ধৈর্যও। একে একে বাড়াতে থাকি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।’
মাস্কাটের এই সফল ব্যবসায়ী আলহাজ কাজী সোলায়মানের বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায়।