বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যাক্তিরা
লিডারশিপ ডেস্ক: ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের দশ ক্ষমতাধর ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি এখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন ফোর্বসের ২০১৫ সালের তালিকায় পুতিন এ আসন দখল করে নিয়েছেন। তবে অবাক করা ব্যাপার হলো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই তালিকায় এবারে আরও একধাপ নিচে নেমে গেছেন! এবারের তালিকায় ওবামার অবস্থান তিনে। গত বছর তিনি দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে রাশিয়ার। এর মধ্যে ফোর্বসের এই তালিকা ওবামার জন্য হয়তো নতুন চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের এই তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। তবে উন্নতি হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবস্থানের। মোদি গত বছর ১৪ নম্বরে ছিলেন।কিন্তু এবার তিনি ছয় ধাপ এগিয়ে শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছেন। ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ফোর্বসের তালিকার বতমানে মোদির অবস্থান নয়ে। যদিও মোদি সরকারকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
ফোর্বসের এ তালিকায় পোপ ফ্রান্সিস চার, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পাঁচ, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ছয়, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান জেনেট ইয়েলেন সাত, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আট এবং গুগলের ল্যারি পেজ ১০ নম্বরে স্থান করে নিয়েছেন।
চারটি দিক বিবেচনা করে এই তালিকা প্রকাশ করেছে ফোবস। প্রথমত, ব্যক্তির বিপুলসংখ্যক মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ। তৃতীয়ত, বহু ক্ষেত্রে ক্ষমতা এবং চতুর্থত, সক্রিয়ভাবে ক্ষমতার ব্যবহার।
ম্যাগাজিনে পুতিন সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশ্বের কয়েকজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা প্রতিনিয়ত প্রমাণ দিচ্ছেন তাঁরা যা করতে চান, তাই করেন। পুতিন তাঁদের মধ্যে একজন। তিনি গত বছরও এ তালিকায় এক নম্বর অবস্থানে ছিলেন। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্পর্কে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক, প্রযুক্তি ও সামরিক ক্ষমতা দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বের এক নম্বর দেশ হিসেবে রয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মেয়াদের শেষ বছরে এসে ওবামার প্রভাব অনেক কমে এসেছে।
ফোর্বসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরেরই দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বারাক ওবামা ও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় বিশ্ব নেতা হিসেবে তাঁর পরিচিতি বৃদ্ধি করেছেন।