প্রিয় বইটি আজও লিখতে পারিনি : আনিসুল হক
মো. সাইফ : যখন তোমার চোখের পাতায় এক ফোঁটা জল/ আমার মৃত্যু তখন হলেই হব সফল। – আনিসুল হক।
সফল বিফল শব্দগুলো হয়ত আপেক্ষিক,তবে কিছু মানুষকে সফল ঘোষণা করতে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব ঘাঁটানোর প্রয়োজন নেই। লেখক, কবি, সাংবাদিক, নাট্যকার, কলামিস্ট আনিসুল হক তেমনই একজন মানুষ। অগণিত ভক্তের ভালবাসার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছেন লেখনী দিয়ে। আজ এই মানুষটির জন্মদিন। শ্রদ্ধেয় আনিসুল হককে শুভ জন্মদিন জানাচ্ছে প্রমিনেন্ট পরিবার।
মো. মোফাজ্জল হক এবং মোসাম্মৎ আনোয়ারা বেগমের ঘর আলো করে ১৯৬৫ সালের আজকের দিনে রংপুর জেলার নীলফামারিতে জন্মগ্রহন করেন আনিসুল হক। ছোটবেলায় পরিচিত ছিলেন ‘মিঠুন’ নামে। দুরন্ত শৈশবের দিনগুলো পেরিয়ে মিঠুন হয়ে উঠেছেন আনিসুল হক। প্রথম বই ছিলো কবিতার, এরপর গদ্য, রম্য সবকিছুতেই উজ্জ্বল তারা হয়ে লিখে চলেছেন একের পর এক বই।
রংপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন। উভয় পরীক্ষাতেই রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের মেধাতালিকায় স্থান পান। এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক শেষ করেন। এরপর বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগে যোগ দিলেও ক’দিন পরই চাকরিটি ছেড়ে দেন শুধু লেখালেখির প্রতি পূর্ণ সময় দেওয়ার ইচ্ছায়।
১৯৮৯ সালে তার প্রথম কবিতার বই ‘খোলা চিঠি সুন্দরের কাছে’ প্রকাশিত হয়। এরপর লিখে গেছেন বহু গ্রন্থ। ব্যাক্তিগতভাবে পছন্দ করেন রম্য লিখতে। আনিসুল হকের সবচেয়ে বিখ্যাত বই ‘মা’ যেটি দিল্লি থেকে ইংরেজী ভাষায় ‘Freedom’s Mother’ নামে অনূদিত হয়।
২০১২ সালে আনিসুল হক বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান কথাসাহিত্যে। একটি সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়, তার নিজের লেখা প্রিয় বই কোনটি? জবাবে বিনয়ী এই কথাসাহিত্যিক বলেন, এখনো তিনি প্রিয় বইটি লিখতে পারেননি। তাই লিখে চলেছেন অবিরাম।
বীর প্রতীকের খোঁজে, নিধুয়া পাথার, আয়েশামঙ্গল, খেয়া, ফাঁদ, ফাল্গুন রাতের আঁধারে, আমার একটা দুঃখ আছে, ক্ষুধা এবং ভালোবাসার গল্প, হৃদিতা, সেঁজুতি, তোমার জন্য, ৫১বর্তীসহ অনেক সাড়াজাগানো বইয়ের স্রষ্টার জন্মদিনে পাঠকদের আশা তিনি এভাবেই তাদের সাহিত্য তৃষ্ণা মিটিয়ে যাবেন।