শিক্ষক ফাতেমা কমলা চাষী ফাতেমা
- সজীব হোসাইন, রংপুর
বাড়ির পাশে জমিতে ২০১১ সালে একটিমাত্র কমলার চারা রোপণ দিয়ে কমলা চাষের শুরু করেছিলেন গাইবান্ধার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবি গ্রামের ফাতেমা খাতুন মজুমদার। বর্তমানে দেড় একর জমিতে প্রায় ৩৫০ টি ছোট বড় কমলা গাছ রয়েছে তার। এই কমলা বাগান থেকে প্রতি বছর তিনি আয় করেন লক্ষাধিক টাকা।
মেধা আর শ্রম দিয়ে এলাকায় কমলা চাষ করে যে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন ফাতেমা তার স্বীকৃতি হিসেবেও মিলেছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ব্রোঞ্জ পদক। গত ৭ জানুয়ারি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষিতে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২০’ তুলে দেন।
কমলা চাষের শুরুটা কীভাবে জানতে চাইলে ফাতেমা বলেন, ‘বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় কমলার চারা লাগাই। অনেকেই হাসি ঠাট্টা করত। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রচুর কমলা ধরে, যা পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করতে শুরু করি। এর পরেই সিদ্ধান্ত নেই বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের। বর্তমানে এখানে বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। আমাকে দেখে এলাকার অনেকেই এখন কমলা চাষে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার পাওয়া নিয়ে ফাতেমা বলেন, আগামীতে আরও বড় পরিসরে ব্যতিক্রমধর্মী কমলা বাগান তৈরি করে র্স্বণ পদক পাওয়ার আশা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘কমলা বাগানটি আরও বড় করে এলাকার মানুষকে বিনামুল্যে চারা বিতরণ করব। সবাই যেন কমলা চাষে আগ্রহ দেখায় সে ব্যাপারেও কাজ করব।’
কথা বলে জানা যায়, ফাতেমার স্বামী হাতিবান্ধা উপজেলার মিলনবাজার মোজাম্মেল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান। এবং ফাতেমা নিজেও পশ্চিম সারডুবি গ্রামের পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। চাকরির পাশাপাশি তাঁদের এই সাফল্যের ব্যাপারে ফাতেমা বলেন, আমার স্বামী বিভিন্নভাবে আমাকে এ কাজে সাহায্য করেছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।