নামি কোম্পানিতে শীর্ষে থাকা নারীরা
- লিডারশিপ ডেস্ক
গিভ আ গার্ল দ্য রাইট সুজ, সি ক্যান কনকোয়ার দ্য ওয়ার্ল্ড— অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর উক্তিটি নারীকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে নিশ্চিতভাবেই। সত্যিই তো বিশ্বজয়ের জন্য চাই আশপাশের সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ। নারীর জন্য বিশ্বজয় এখন আর অকল্পনীয় কিছু নয়। নারীর পদচারণায় মুখরিত এখন বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র। এমনকি বিশ্বের অনেক নামিদামি কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর পদটি এখন নারীর দখলে। ফরচুন ম্যাগাজিনের দেয়া তালিকা অনুযায়ী হাফিংটন পোস্টে করা এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তেমন কিছু ক্ষমতাধর নারীর কথাই, যারা বিশ্বের নামি কিছু প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে আসীন আছেন
মেরি বারা
১৯৮০ সালের কথা। তখন মেরি টি বারা জেনারেল মোটরস ইনস্টিটিউটে স্নাতক করছিলেন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর। পরে সেখানেই ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। তার এই দুটো ডিগ্রির পরই তাকে ১৯৮৮ সালে জিএম ফেলোশিপের জন্য মনোনীত করা হয়। এর পর থেকে জিএম কোম্পানির বিভিন্ন পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহীর পদে দায়িত্ব পালন করেন ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে। এর পর বছর না ঘুরতেই তিনি কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, এর আগে তিনি সহসভাপতির দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন একই কোম্পানিতে। ফোর্বসের করা ২০১৬ সালের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন জেনারেল মোটরসের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত এই নারী।
গিনি রোমেত্তি
২০১৫ সালে ফরচুন ম্যাগাজিনের করা বিশ্বসেরা ৫০০ কোম্পানির তালিকায় ৩১ নম্বরে রয়েছে আইবিএমের নাম। আর বিশ্বখ্যাত এ কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহীর পদটি কিন্তু ধরে রেখেছেন একজন নারী। আর তিনি গিনি রোমেত্তি। ফোর্বসের দেয়া তথ্যমতে বিশ্বের ক্ষমতাধর নারী হিসেবে তিনি ১১তম। ২০১২ সালে আইবিএমে প্রধান নির্বাহী এবং সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। সে বছরই অক্টোবরে গিনি একই কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। যদিও বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মনে করেন গিনি রোমেত্তি ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছেন আইবিএমের প্রধান নির্বাহী হিসেবে। তবে এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে তিনি আইবিএমে প্রযুক্তিগত বেশ বড় পরিবর্তন এনেছেন।
মেরিলিন হিউসন
আমেরিকান গ্লোবাল অ্যারোস্পেস, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা কোম্পানি লকহিড মারটিন করপোরেশন। ফোর্বসের করা সেরা ৫০০ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে লকহিড মার্টিন করপোরেশন। আর এই কোম্পানির সঙ্গে মেরিলিন হিউসনের সম্পৃক্ততা ১৯৮৩ সাল থেকে। সে সময় থেকে এখানে বিভিন্ন উচ্চ পদে কাজ করছেন। ২০১৩ সাল থেকে অধিষ্ঠিত আছেন প্রধান নির্বাহীর পদে।
সাফরা কাতজ
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেয়া নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন সাফরা কাতজ। এত বেশি পারিশ্রমিক নেয়া বিজনেস লিডার সাফরা ২০১৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ওরাকলের সাফল্য সবার চোখেই পড়েছে। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি ফরচুন ম্যাগাজিনের করা সেরা ৫০০ কোম্পানির তালিকায় ছিল ৮১তম অবস্থানে, যেখানে এর পরের বছরই চলে আসে ৭৭-এ। আর এই অর্জনের কৃতিত্ব কিছুটা হলেও রয়েছে সাফরার।
সূত্র : হাফিংটন পোস্ট