কম্পোস্ট সারে কহিনুরের সাফল্য
- লিডারশিপ ডেস্ক
নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সোনাইর খামার গ্রামের আবদুস সামাদের স্ত্রী কহিনুর বেগম। নিজের নার্সারিতে চারা ও কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে সংসারের অভাব ঘুঁচিয়েছেন। সুখের স্বপ্ন দেখছেন এখন। তার উৎপাদিত নার্সারির চারা ও কেঁচো কম্পোস্ট সার বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এলাকার শতাধিক নারী কহিনুরকে অনুসরণ করে পরিবারভিত্তিক কেঁচো কম্পোস্ট সারের খামার করেছেন। বিয়ের পর ভূমিহীন দিনমজুর স্বামীর সংসার চালাতে হাঁফিয়ে ওঠেন কহিনুর। শত অভাব তার সুন্দর সংসারের স্বপ্ন ম্লান করে দেয়। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ শুরু করেন।
এ অবস্থায় ২০১৩ সালে বেসরকারি এনজিও আরডিআরএস বাংলাদেশ পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহায়তায় মঙ্গা নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ (সংযোগ) প্রকল্পের আওতায় কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরির স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ নেন কহিনুর। ৯ হাজার টাকায় চৌবাচ্চা ও দুই হাজার কেঁচো দিয়ে পরিবারভিত্তিক খামার করে দেয় এনজিওটি। ছাগল, ভেড়া, গরুর গোবর ওই চৌবাচ্চায় দিয়ে তাতে কেঁচো ছেড়ে দেন। কেঁচোর মল থেকে তৈরি করেন কেঁচো কম্পোস্ট। প্রথমদিকে এ সার তার নার্সারিতে ব্যবহার করা হয়। আস্তে আস্তে তার সারের কথা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিক্রি হতে থাকে পরিবারভিত্তিকভাবে। বর্তমানে এলাকার কৃষকরা এ সার ক্রয়ে অগ্রিম টাকা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বছর নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে ১৫-১৮ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি। তাকে সব সময় আরডিআরএসের কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়ে আসছেন।