আমরা জয়ীতা, আমরা উদ্যোক্তা

আমরা জয়ীতা, আমরা উদ্যোক্তা

  • শামীম রিমু

নারীর এগিয়ে চলা কোনোকালেই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, আজও নেই। এই একুশ শতকেও নারীর অগ্রযাত্রার পথে পথে ছড়ানো রয়েছে কঙ্কর ও কাঁটা। তবু অপরাজিতা নারী সব সময়ে সবকালে এগিয়ে গেছে সব বাধাকে উপেক্ষা করে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে অনেক নারীই উদ্যোক্তার খাতায় নাম লেখাচ্ছেন। সফলও হচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এই সফল হতে গিয়ে কত বাধা ডিঙ্গাতে হয়েছে তাদের? সফল কয়েকজন নারী উদ্যোক্তা নিজের মুখেই বলেছেন সেই গল্প। দুই পর্বের ধারাবাহিকের আজ দ্বীতিয় পর্ব।


১. টিফানি এঞ্জেলস

  • কর্পোরেট চাকরিরত অবস্থায় নিজেকে তাঁর মৃত মনে হত, কিন্তু চাকরি ছাড়ার সাহসও জোগাতে পারতেন না। রাতে এবং ছুটির দিনে কাজ করে চালিয়ে নেয়া যায় এমন ব্যবসার পরিকল্পনা করতে থাকেন টিফানি। একটি ক্যামেরার মালিক হওয়ায় ফটোগ্রাফির দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। নিজের সেবাকে পুরোদস্তুর ব্যবসায় রূপান্তর করতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। বর্তমানে তিনি স্যু ব্রাইসের সাথে কর্মরত আছেন।

২. ইয়াসমিন খাতের

  • ফরচুন ৫০০ কোম্পানিতে সফল ক্যারিয়ার গঠনের পর ক্যান্সারে বাবার মৃত্যু তাঁকে বাধ্য করে জীবন নিয়ে ভাবতে। জীবনকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করতে অবসর নেন কাজ থেকে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ও আত্মনির্ভরশীল হতে ব্যবসা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে শুরু করেন ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং। সেই থেকে শুরু, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ইয়াসমিনকে।

৩. মায়ি চার্লস

  • বাচ্চাদের বাড়ির সামনে প্রতিবেশী ও পথচারীদের কাছে লেবুর শরবত বিক্রী করতে দেখে শুরু। নিজের তৈরি শো-পিস ও ভাস্কর্য নিয়ে বসে পড়েন বাসার সামনে। নিজের সাফল্যে নিজেই অভিভূত হয়ে যান চার্লস। নিজের লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ তখনই স্থির করে ফেলেন।

৪. মেই পাক

  • দশ বছর বয়সে স্কুলের ক্লাস বিরতি চলাকালীন ছোট ছোট রঙিন পাথর বিক্রী করেন সহপাঠিদের কাছে। পাথরগুলো মায়ের গয়নার দোকান থেকে সস্তায় পাওয়া ছিল। একদিনের ব্যবসা বেশ লাভজনক ছিল, নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন সেদিন থেকেই বাস্তবায়িত হতে থাকে।

৫. কিমরা লুনা

  • ১৮ বছর বয়সে নিজের বুকিং এজেন্সি খুলে বসেন লুনা। শুরুর দিকে শুধু কনসার্ট আয়োজন করতেন যা পরবর্তীতে তাঁর পেশা হয়ে দাঁড়ায়।

৬. কোর্টনি জনসন

  • নিজেকে কখনোই উদ্যোক্তা ভাবেননি কোর্টনি। ভালোবাসতেন স্বপ্ন দেখতে, ভালোবাসতেন নিয়ম ভাঙতে। কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করার পর নিজেকে চাকরীর অযোগ্য বলে ধরে নেন তিনি। নিজেই কিছু একটা করে উপার্জনের রাস্তা খোঁজেন। কিছু পথ এদিক ওদিক ঘোরার পর কপিরাইটিং পেশায় সফলতা অর্জন করেন এবং সেই থেকে তাঁর আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি।

সূত্র : ইনকর্পোরেট ডটকম favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment