একজন চেঞ্জমেকার
- লিডারশিপ ডেস্ক
নেতৃত্ব মানে শুধুই সভায় আলোচ্য বিষয়সূচির প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখানো নয়, নিজে সেই কর্মসূচি স্থির করা, সমস্যা চিহ্নিত করা এবং শুধুই পরিবর্তনের সঙ্গে সামাল দিয়ে না চলে নিজেই এমন পরিবর্তনের সূচনা করা; যা উল্লেখযোগ্য উন্নতির পথ প্রশস্ত করে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নেতাদের মধ্যে আগের সেই দায়সারা ভাব খুব একটা দেখা যাচ্ছে না, বরং দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজটিকে ভালোমতো শেষ করার দিকেই এখন সকলের নজর থাকে। আর মানসিকতার এই পরিবর্তন এসেছে বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি অর্থাৎ যুবনেতাদের হাত ধরে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসন-২৮ সাংসদ অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবিরিয়া কেয়া চৌধুরী হলেন এরকমই একজন চেঞ্জমেকার।
তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে বাস্তব জগতের পাশাপাশি অন্তর্জালীয় জগৎ অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। চেষ্টা করেন প্রত্যেকদিন ঘটে যাওয়া নানারকম উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং জাতীয় সিদ্ধান্তসমূহ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে আগেভাগেই অবগত করতে। আর সেজন্যই ফেসবুকের বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের কাছে তিনি একজন তুমুল আলোচিত ব্যক্তিত্ব। ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে ৫০০০ বন্ধুর পাশাপাশি প্রায় ৪৭০০০ মানুষ তাকে অনুসরণ করেন। ফেসবুকের কল্যাণেই নিজের নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকার মানুষেরা তার সংস্পর্শে আসতে পারছেন।
গত ২১ অক্টোবর রাত ১০টা ২৩ মিনিটে তার ফেসবুক প্রোফাইলে ‘জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব সৈয়দ আশরাফুল হককে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আগত নেপালি অতিথিদেরকে বরণ করে নেওয়া’র ছবি তিনি আপলোড করেন। এছাড়া সম্মেলন উপলক্ষে আগত বিদেশি অতিথিদের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজ চলাকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কিছু ছবিও তিনি শেয়ার করেন। তার আগে গত ১৯ অক্টোবর রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স আয়োজিত, ঢাকাস্থ সিরডাপ মিলনায়তনে চর এলাকার টেকসই উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা নীতি নির্ধারকদের ভূমিকা শীর্ষক সংলাপ নিয়ে তিনি নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ছবিসহ একটি পোস্ট দেন। এছাড়া ফলক উন্মোচন, স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনসহ বর্তমান সরকারের নানারকম উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রকাশিত বিভিন্ন নিউজের বিশ্বাসযোগ্য লিংক তিনি তার টাইমলাইনে শেয়ার করেন।
টিভি চ্যানেলগুলোতে তার উপস্থিতি বিষয়ে আগেভাগেই তিনি তার ভক্ত-সমর্থকদের জানিয়ে রাখার চেষ্টা করেন, যাতে সেই প্রোগ্রাম তারা মিস করে না ফেলেন।
পেশায় একজন অ্যাডভোকেট হওয়ার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এবং সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লালমাটিয়া মহিলা কলেজের সাবেক এই শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকায় বর্তমান প্রজন্ম তার হাত ধরেই বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে দেখতে চায়।