নারী এখন সীমান্ত প্রহরী
- লিডারশিপ ডেস্ক
দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৩২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো সৈনিক পদে ৯৭জন নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বছরের শেষের দিকে আরো ১০০ নারী সৈনিক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পার্সিং আউটের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণ হওয়া এই নারী সৈনিকদের মধ্যে ১৫জন নারীকে সীমান্তে চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধে এই প্রথম বেনাপোল সীমান্তে মোতায়ন করা হয়েছে।
চোরাচালানকারীরা কৌশল বদলে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী নারীদের ব্যবহার করছে। এতে তল্লাশি করতে বিজিবি সদস্যদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। নারীদের তল্লাশির জন্য সীমান্তে এই ১৫ নারী বিজিবি সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
২৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোহম্মাদ লিয়াকত আলী জানানা, পুরুষ সৈনিকের পাশাপাশি এখন নারী সৈনিকরা বেনাপোল সীমান্তে কাজ করছেন। তারা বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্প, বেনাপোল সদর বিজিবি ক্যাম্প ও আমড়াখালী বিজিবি চেকপোস্টে চোরাচালান প্রতিরোধে কাজ করছেন। তাছাড়া এই নারী সৈনিকদের যোগাযোগ, মেডিকেল , গোয়েন্দা শাখাসহ অন্যান্য শাখাতেও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
বেনাপোল সীমান্তে নারী সৈনিক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মরত তাহমিনা জানান, তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। নারী হয়ে সৈনিক পদে চাকরি পেয়ে খুব ভালো লাগছে। প্রথম প্রথম খারাপ লাগতো, এখন ভালো লাগছে। অপর সৈনিক মনিরা খাতুন বলেন, ‘আমার বাড়ি রাজশাহী জেলায়। আগে সিভিলে ছিলাম, এখন আধা সামরিক বাহিনীতে চাকরি পেয়ে বেনাপোলে পোস্টিং হয়েছে। এখানে কাজ করতে বেশ ভালো লাগছে।’ ময়মনসিংহের আনজুয়ারা বেগম, নেত্রকোনা জেলার রিতু ও গাজীপুর জেলার রুনা জানান, তারা সৈনিক পদে চাকরি পেয়ে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করছেন। অনুরূপভাবে অকপটে জানান, রাজশাহীর অন্তরা, নওগাঁর সুমী খাতুন, গাজীপুরের জুলিয়া বেগম ও বরিশালের নার্গিস বেগম। তারা জানান, গর্বিত সৈনিক পদে চাকরিতে যোগদানের পর নিজেদের সাফল্য আর ভালো লাগার কথা। বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রোপোল সীমান্তেও নারী বিএসএফ কাজ করছে।