পেঁপে চাষ করে লাখ টাকা উপার্জন
- লিডারশিপ ডেস্ক
পেঁপে শব্জিজাতীয় অর্থকরি ফসল। মাগুরা জেলার মাটি পেঁপে চাষের উপযোগি হওয়ায় মাগুরা জেলায় পেঁপের উৎপাদন ভালো হয়। বর্তমান বাজারে এর দামও ভাল। পেঁপে চাষ লাভজনক হওয়ায় মাগুরার কৃষকরা এখন পেঁপে চাষের দিকে ঝুকে পড়ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পেঁপে সাধারন্ত শব্জি হিসাবে বেশী ব্যাবহার করে থাকে। তাই বলে পাকা পেঁপে ব্যাবহারকারির সংখাও কম নয়। জন্ডিস, লিবার, অপুষ্টি, কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীর পথ্য হিসাবে চিকিৎসকগণ রোগীদের পাকা পেঁপে খেতে বেশী করে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
নীচু জমি ব্যাতীত অন্যান্য সকল জমিতে পেঁপের চাষ করা যায়। অল্প পরিশ্রমে স্বল্প ব্যায়ে কম সময়ে পেপে চাষ করে বেশী লাভবান হওয়া যায়। ফলে মাগুরার কৃষকরা এখন পেঁপে চাষে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠছে। পেঁপের চাষ করে অনেকে স্বাবলম্বী ও অর্থবিত্তশালী হয়ে উঠেছে।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা লব কুমার রায় জানান, চলতি মৌসুমে মাগুরা জেলায় ৩৬৩ হেক্টর জমিতে পেঁপের চাষ হহেহয়ছে। এ মৌসুমে মাগুরা জেলায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ২৯ হাজার ৪০ মেট্রিক টন পেঁপে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধার্য্য করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র সফল করতে কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। মাগুরা জেলায় উৎপাদিত পেঁপে কৃষকদের বাজারজাত করতে কোন সমস্যা হয়না। পাইকারি বিক্রেতারা কৃষকদের পেঁপে বাগানে এসে ক্রয়করে নিয়ে যায় এবং মাগুরার পেঁপে ঢাকা,বরিশাল, পাবনা, সিরাজগন্জ, চিটাগং সহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হয়ে থাকে। প্রতিদিন মাগুরা থেকে ৫/৭ ট্রাক পেঁপে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে।
মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি গ্রামের কৃষক আবুল খায়ের। বয়স ৬৭ বছর। ৩৫ বছর কৃষিকাজ করে অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে মাঠে এখন ধান পাট ভালো হয়না। কৃষকের খরচের টাকা ওঠেনা। প্রয়োজনের তাগিদে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে তিনি ১০ বছর আগে মাত্র ১০ শতক জমিতে পেঁপের চাষ শুরু করেন। পেপে চাষ লাভজনক হওয়ায় তিনি প্রতিবছর পেপে চাষের জমি বাড়াতে বাড়াতে চলতি মৌসুমে ১২ একর জমিতে পেপের চাষ করেছেন। এই পেপে চাষে তার খরচ হয়েছে ৮ লাখ টাকা। তার জমিতে উৎপাদিত পেপে তিনি এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ৫ লাখ টাকা। গাছে প্রচুর পেপে ধরেছে। আগামিতে তার গাছে যে পেপে পাওয়া যাবে তা তিনি আরো ১০ লাক টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। খরচ বাদে তার লাভ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা। পেপে বাজারজাত করতে তার বা কোন কৃষকের কোন সমস্যা হয়না কারণ পেপে ব্যাবসায়িরা কৃষকদের বাগানে এসে পেপে খরিদ করে নিয়ে যায়।