চাকরি ছেড়ে কৃষক হয়ে কোটিপতি
- লিডারশিপ ডেস্ক
হরিশ ধনদেব ছিলেন সরকারি চাকুরে। সব সুযোগ-সুবিধাই ছিল। তবু মানসিকভাবে সন্তুষ্ট ছিলেন না। চাইতেন আলাদা কিছু করতে। স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দুম করে একদিন চাকরি ছেড়ে দিলেন।
সরকারি প্রকৌশলীর চাকরি ছেড়ে ধনদেব শুরু করলেন কৃষিকাজ। এ থেকে আজ তিনি কোটিপতি। তাঁর খামারে উৎপাদিত অ্যালোভেরার চাহিদা ব্রাজিল, হংকং ও যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
কৃষক পরিবার থেকে এসেছেন ধনদেব। একবার দিল্লিতে কৃষি প্রদর্শনী দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) ও আমলকীর (আমলা) চাষ দেখেন। নেমে যান এই দুটোর আবাদে। এরপরই জীবনের মোড় ঘুরে যায়।
ধনদেবের ১২০ একর জমি ছিল। সেখানেই গড়ে তোলেন অ্যালোভেরার খামার। সঙ্গে অন্য শস্যের চাষও করেন। তাঁর ন্যাচারাল অ্যাগ্রো খামারটি ভারতের রাজস্থানের জয়সালমির থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ধাইশার গ্রামে। সেখানকার কৃষিজমি থেকে তাঁর এখন বছরে আয় দেড় থেকে দুই কোটি রুপি।
প্রাথমিকভাবে ধনদেব তাঁর জমিতে ৮০ হাজার অ্যালোভেরার চারা লাগান। এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত লাখে। গত চার মাসে প্রক্রিয়াজাত ১২৫ থেকে ১৫০ টন অ্যালোভেরার নির্যাস তিনি হরিদ্বারে অবস্থিত পতঞ্জলি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডে পাঠান। খামারে আধুনিক পদ্ধতিতে অ্যালোভেরা প্রক্রিয়াজাত করা হয় বলে জানান ধনদেব।
মরু এলাকায় জন্মানো অ্যালোভেরার গুণগতমান ভালো। তাই দেশ-বিদেশে এর চাহিদা বেশি। আগে রাজস্থানের থর মরুভূমিতে উৎপাদিত অ্যালোভেরা নিত পতঞ্জলি। তবে এখন পতঞ্জলিতে পৌঁছে যাচ্ছে ধনদেবের অ্যালোভেরা। শুধু ভারতেই নয়, ব্রাজিল, হংকং, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ধনদেবের অ্যালোভেরা।