সবজি বীজ চাষেই স্বাবলম্বী সুজালপুরের বাবু
- লিডারশিপ ডেস্ক
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সুজালপুর ইউপির শিতলাই গ্রামের বাসিন্দা রাসেদুন নবী বাবু। সংসারের বাড়তি আয়ের প্রয়োজনেই চাকরি করতে ঢাকা যান। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমের চেয়ে টাকা কম পাওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিতে হয় তাকে। হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন সবজি বীজ চাষ করার।
আর সবজি বীজ চাষ করেই তিনি তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সবজি বীজ বিক্রি করে মাসেই তার গড় আয় ৭০ হাজার টাকা। এলাকায় তিনি এখন সকলের অনুকরণীয়।
রাসেদুন নবী বাবু ঢাকার ডাককে জানান, সংসারের বাড়তি আয়ের প্রয়োজনেই চাকরি করতে ঢাকা যান। এ সময় তিনি সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে একেক সময়ে একেক ধরনের চাকরি করেন। ২০০৪ সালের দিকে তিনি একটা বীজ কোম্পানিতে চাকরি নেন। কিন্তু শ্রমের চেয়ে টাকা কম পাওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। পরে বাড়ির পাশে ৪০ শতকে করলা বীজ চাষ করেন। এ সময় তিনি ক্ষেতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ৯০ হাজার টাকায় করলা বীজ বিক্রি করেন। এরপরে এক বিঘায় লাউ বীজ চাষ করে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় করেন। এভাবে এক সময় তিনি বীজের চাষ বাড়িয়ে দেন। করলা, ঝিঙ্গা, লাউ, ধুন্দল, কুমড়া, বেগুন, পিঁয়াজ, ঢেড়সের বীজ চাষ শুরু করেন।
রাসেদুন নবী বাবু আরো জানান, বর্তমানে তার ৫ একর জমিতে বিভিন্ন বীজের চাষ চলছে। এছাড়াও অন্যের জমি ভাড়া নেয়া আছে। এসব জমিতে প্রতিদিন তার লেবার লাগে ২৫ থেকে ৩০ জন। এলাকার অনেকেরই এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে।
বাবু জানান, ৫০ শতক জমিতে চাল কুমড়া চাষ করতে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। ১৫০০ টাকা কেজি দরে উৎপাদিত প্রায় একশ কেজি চাল কুমড়ার বীজ বিক্রি করা হয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এখানকার উৎপাদিত বীজ লাল তীড় কোম্পানির কাছে বিক্রি করেন তিনি।
একেক সময়ে একেক সবজি বীজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। যে কেউ উদ্যোমী ও মনোবল দৃঢ় থাকলে সাফল্য অর্জন সম্ভব এবং স্বাবলম্বী হতে পারে। বীজ চাষে ভালো আয় থাকার কারণে তাকে আর চাকরির পিছনে ছুটতে হবে না বলেও জানান রাসেদুন নবী বাবু।