ব্যর্থতা পেরিয়ে নিজাম এগিয়ে
- লিডারশিপ ডেস্ক
প্রতিদিন হাত ধরে স্কুলে পৌঁছে দিতেন বাবা। বলতেন সুশিক্ষা অর্জন করে জীবনের সর্বক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করার কথা। আর বাবার সেই অনুপ্রেরণা থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। তিনি বর্তমানে কর্নফুলী লিমিটেডের মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাবা চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় কাজ করতেন। পরিবারের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠাও সেখানে। নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘জীবনে কখনো পিছু ফিরে তাকাইনি। যে কাজ হয়নি সেটা ভিন্নভাবে করার চেষ্টা করেছি, আর সফলতাও পেয়েছি।’ কাজকে সবসময় দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেছেন বলেই কাজের জায়গাগুলো থেকে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছেন বলেও জানান তিনি। তার জন্ম ১৯৬৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। স্কুল ও কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন কর্ণফুলি পেপার মিলস ইন্ডাস্ট্রি এলাকায়। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে ঢাকায় আসেন। ১৯৯৬ সালে একটি প্রাইভেট কোম্পানির মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের ট্যারিটরি বিজনেস ইনচার্জ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০২ সালে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করে ২০০৫-এ পদোন্নতি পেয়ে হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের দায়িত্ব পান। একই কোম্পানির কান্ট্রি ডিরেক্টরের সহায়তায় শিক্ষাজীবনের আরও একটি ধাপ মার্কেটিং অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে কর্ণফুলী লিমিটেডের মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। নিজের দায়িত্বকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরকে দেশের প্রথম স্থানে তুলে এনেছেন। এক বছর পাঁচ মাসের মধ্যে নানা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারাদেশে মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের মান সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন ক্রেতাদের কাছে। বিশেষ করে কিস্তিতে ট্রাক্টর ক্রয়ের সুযোগ থাকায় সুবিধা পাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকেরা। এতে আর্থিকভাবেও সুবিধা পাচ্ছে কৃষক। কৃষকের খুব কাছে গিয়ে তথ্য দেওয়ার কারণেই দ্রুত এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
নতুন প্রজন্মের জন্য তিনি বলেন, ‘শুধু শিক্ষা নয়, সততা না থাকলে শিক্ষার মূল্য নেই। তাই সত্ভাবেই কাজ করে যেতে হবে। আর সততা ও নিষ্ঠা থাকলে কাজে অগ্রগতি আসবেই।’ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নিজের মেধা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে ভবিষ্যতে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরির ভাবনাও আছে তার।