দুধে আলতা রূপের জন্য…
রিক্তা রিচি : খাদ্য হিসেবে দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু রূপচর্চায়ও যে দুধ বিরাট ভূমিকা রাখে তা কি জানি? রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হলো এটি ত্বক নরম ও উজ্জ্বল করে এবং চুলকে ঝলমলে করে। এটি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দারুণ কাজ করে এবং কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। অনাদিকাল থেকে দুধ সৌন্দর্যের সুস্বাস্থ্যবিধির অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দুধ ত্বককে পরিষ্কার করে, মসৃন করে, স্তর উঠাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ময়লা দূর করে, মসৃন করে, শুষ্ক ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনে। এছাড়া এতে রয়েছে খনিজ উপাদান যা নিষ্প্রাণ চুল ও নির্জীব ত্বক রোধে কাজ করে। দুধ কোঁচকানো চুল সারায়। তাছাড়া রুপচর্চায় দুধের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে।
-
ত্বক উজ্জ্বল করে
ত্বকে দুধ ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়। দুধের উন্নত পুষ্টিগুণ, প্রোটিন এবং মিনারেলস ত্বকে গভীরভাবে পুষ্টি যোগায়।
-
ত্বককে ফর্সা করে
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা ত্বক পাওয়ার একটি সহজ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায় হলো দুধের ব্যবহার। এক কাপ দুধে ৫ টি কাজুবাদাম ছেড়ে দিন। পরদিন সকালে চূর্ণ করে পেস্ট তৈরি করে নিন। ত্বকে এটি ব্যবহার করুন। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলার পর পরিষ্কার ও ফর্সা ত্বক পাবেন।
-
রুক্ষ চুলের চিকিৎসায়
রুক্ষ ও কোঁচকানো চুল প্রতিরোধে দুধ হলো সর্বোত্তম প্রতিকার। গোসলের পূর্বে পুরো চুলে কিছু সময় দুধ মেসেজ করুন। এটি গভীরভাবে চুলে পুষ্টি যোগায় এবং চুলকে নরম করে।
-
মসৃন ত্বক
দুধ হলো পূর্নাঙ্গ ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বকের জল শুষে নেয় এবং ত্বককে আরো নমনীয় করে। ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করুন। কিছু সময়ের জন্য তা রেখে দিন নরম এবং মসৃন ত্বক পেলে ধুয়ে ফেলুন।
-
দীপ্তিময় ত্বক
প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা সকলেই প্রত্যাশা করে। ত্বকে দুধ ব্যবহার করলে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়। প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা পেতে সরাসরি ত্বকে দুধ ব্যবহার করুন। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
-
কালো দাগ দূর করতে
ত্বকের কালো দাগ সারাতে দুধ ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়। গোসলে যাওয়ার পুর্বে আক্রান্ত স্থানে দুধ ব্যবহার করুন। কালো দাগ দূরীকরণে ১৫ মিনিট রেখে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।
প্রচ্ছদের মডেল : শারমিন ইসলাম স্নিগ্ধা