তেতো হলেও অনেক গুণ!
- আয়শা আক্তার রিফা
নিম গাছের গুনাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। এই গাছের পাতা থেকে শুরু করে ডাল পালা, নিমের ফল সব কিছুই মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। ধারনা করা হয় আনুমানিক ৪০০ বছর আগে নিম পাতা জীবানু ধ্বংসকারী হিসেবে ব্যাবহার করা হতো। তাছাড়া বর্তমানেও নিমের পাতা, ডালপালা দিয়ে নানা রকম ভেষজ ঔষধ বানানো হয়।
নিমের পাতা
নিমের পাতার গুনাগুণ এবং উপকারীতা অনেক। ত্বকের যত্নে নিম পাতার ভূমিকা অপরিসীম। ব্রন এবং ব্রনের দাগের ফলে চেহারার সৌন্দর্য কমে যায়। এ ক্ষেত্রে নিমের পাতা বেটে এবং এর সাথে সামান্য পরিমান হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগালে, ব্রন অনেক আংশে কমে যায়। কারণ নিমের পাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুণ সমৃদ্ধ। ব্রন, খোস পাঁচরা ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। তাই নিম বেটে মুখে লাগালে ব্রনের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় এবং ব্রন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া চুলের যত্নেও নিম খুব উপকারি। নিম চুলের খুশকি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া নিম পাতার রস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
নিমের ডাল
নিমের ডালও আমাদের জন্য অনেক উপকারি। নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত শক্ত হয়। দাঁতের মাড়ি মজবুত হয়। তাছাড়া দাঁতের নানাবিধ সমস্যা যেমন, দাঁতের মাড়ি ব্যাথা রোধ করা, দাঁতের ক্ষয় রোধ করা, দাঁতকে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করা ইত্যাদি কাজে নিমের ডাল খুবই কার্যকারী। প্রতিদিন একটি কচি নিমের ঢাল নিয়ে মেসওয়াক করলে এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া গরম পানিতে ডাল গুলো কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে সেই পানি পান করলেও দাঁতের অনেক সমস্যার সমাধান হয়।
নিম ফুল
নিম ফুলের গুনাগুণও কোনো অংশে কম নয়। নিমের ফুল ওজন কমাতে সাহায্য করার পাশাপাশি বিপাকীয় কাজেও সাহায্য করে। নিমের ফুল সামান্য পরিমাণ বেটে বা পানির সাথে মিশিয়েও খাওয়া যায়। প্রতিদিন খাওয়ার ফলে মেদ কমায়। যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে ২-৩টা ফুল বেটে খেতে পারেন চাইলেই। এতে ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে। বিপাকীয় কাজেও এর গুরুত্ব রয়েছে।
আজকাল নামি দামি ব্যান্ডের ট্যাগ লাগিয়ে অনেক ক্ষতিকারক কেমিকেল মিশ্রিত করে নানা ধরনের প্রসাধনী তৈরি করে। যার ফলে ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই সবার উচিত প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ত্বক সহ সকল কিছুর প্রতি যন্তশীল হওয়া।