পর্দায় প্রাণ পাবে ঘরদোর
- শিমি আক্তার
একটা সময় ছিল যখন দরজা জানালার পর্দাকে ঘরের পর্দা রক্ষার্থে ব্যবহার করা হতো। এখনও হয়, তবে তা এখন আর শুধু এই একটি মাত্র উদ্দেশ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। পর্দা বাড়ীর সৌন্দর্য বাড়াতেও দারুন ভুমিকা রাখে। যার কারণে পর্দার জগতে যোগ হয়েছে নিত্য-নতুনতা । সুন্দর থেকে আরো সুন্দরভাবে পর্দার আর্বিভাগ ঘটছে প্রতিনিয়ত। শোরুমের নানান রং ও বাহারী ডিজাইনের পর্দা দেখে নয়ন জুড়িয়ে যায়। তাই বলে আপনি ইচ্ছামতো পর্দা কিনে বাড়িতে লাগেলই যে বাড়ির সৌন্দর্য ফুটে উঠবে তা নয়। পর্দার সাহায্যে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার আসুন তা জেনে নেই।
পর্দার ধরন
- পর্দার ধরন নির্বাচন একটা বড় ভুমিকা রাখে ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে। কেননা আপনি চাইলেই যে কোনো যায়গায় যে কোনো ধরনের পর্দা লাগালে তা ফুটবে না। ঘরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পর্দার ধরন নির্বাচন করতে হবে । কোনো জানালায় কোথাও ভার্টিকাল ব্লাইন্ড, কোথাও পাটি বা মাদুর, কোথাও পাট বা পুথির তৈরি দড়ি, কোথাও শাড়ির পর্দা , কোথাও সুতি বা জর্জেট কাপড়ের পর্দায় লেস লাগিয়ে হাতের কাজ করে দিলে সৌন্দর্য ফুটে উঠবে চমৎকারভাবে। এমনকি আপনি চাইলে বিভিন্ন রংয়ের গজ কাপড় দিয়েও আপনার পছন্দমতো পর্দা বানিয়ে ঘরে ব্যবহার করতে পারেন।
পর্দার ডিজাইন
- আজকাল ঘরের ডিজাইনের ভিন্নতার কারণে পর্দার ডিজাইনেও ভিন্নতা পরিলক্ষিতি হয়। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে ছোট পর্দার চাইতে বড় পর্দার প্রচলনটা অনেক বেশি দেখা যায় । বড় বা লম্বা পর্দাগুলোর বেশির ভাগই রিলে ঢোকানোর ব্যবস্থা রয়েছে । লম্বা পর্দাগুলো সাধারণত একটু ভারি কাপড়ের হয়ে থাকে তবে আপনি চাইলে পাতলা জর্জেট কাপড়ের পর্দা বানিয়ে উপরে রিলের দিকে লেস ও ফিতা লাগিয়ে ভিন্ন রংয়ের ভারি কাপড় দিয়ে ডিজাইন করে দিতে পারেন। তাহলে সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি জাকজমকপূর্ণও দেখাবে। পর্দাগুলো কুচি করে দেওয়া যেতে পারে, এ অবস্থায় কখনও ছেড়ে রাখতে পারেন আবার কখনও জানালার দুই পাশে হুকের সাথে বেধে দিতে পারেন। আবার কুচি ছাড়াও সমান দৈর্ঘ্যরে পাতলা কাপড় দিয়ে পর্দা দিতে পারেন তবে এক্ষেত্রে উপরের দিকে ভিন্ন রংয়ের কাপড় দিয়ে লেস ও ফিতা লাগালে সৌন্দর্য বাড়বে। লেস ও ফিতা লাগানোর জন্য ভারী কাপড় হলেও চলবে।
পর্দার রং
- পর্দার রং নির্বাচনে নির্দিষ্ট কোনো বাধাধরা নিয়ম নেই। এটা মূলত নির্ভর করে আপনার রুচির উপর। তবে যদি সৌন্দর্য বাড়ানোর চিন্তা মাথায় রেখে পর্দা নির্বাচন করতে চান তাহলে বেশ কিছু বিষয়ই মাথায় আনতে হবে। হতে পারে সেটা ঘরের রংয়ের সাথে সমন্বয় করে, ঘরের আসবাবপত্রের সাথে সমন্বয় করে আবার ভিন্ন ভিন্ন ঘরের পরিবেশ বিবেচনায় এনে পর্দার রং পছন্দ করা যেতে পারে। শোবার ঘরে দিতে পারেন হালকা নীল পর্দা বা গোলাপী রংয়ের পর্দা, ড্রয়িং রুমে আসবাবপত্রের রংয়ের সাথে মিল করে পর্দা দেওয়াটা উত্তম হবে। ডাইনিং রুমে পার্টিশান দেয়ার জন্য মাঝখানে বিভিন্ন রংয়ের পুথি ও পাট দিয়ে তৈরি দড়ি, ঝিনুকের মালা এবং নেটের পর্দাও দিতে পারেন। শিশুদের ঘরে কার্টূন আাঁকা পর্দা লাগালে বেশ ভালো লাগবে এবং শিশুরাও ভালো অনুভব করবে। আজকাল অনেকেই স্নানঘরের জানালায় ও পর্দা ব্যবহার করে থাকেন। সেক্ষেত্রে ভার্টিক্যাল ব্লাইন্ড বা নেটের পর্দা লাগালে ভালো লাগবে তবে এক্ষেত্রে স্নানঘরের দেয়ালের রং অনুসরণ করতে হবে।
পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা রাখা
- পর্দা যে ডিজাইনেরই হোক না কেন ঘরে যেন আলো ও বাতাস প্রবেশ করে সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। সব ঘরে সমানভাবে আলো ও বাতাস ঢোকে না আবার সব ঘরে সমানভাবে আলো বাতাস ঢোকার প্রয়োজনও হয় না। তাই এই দিক গুলো খেয়াল রেখে পর্দার ব্যবহার করতে হবে। শোবার ঘরে যদি দক্ষিণ দিকে জানালা থাকে তবে সেখানে হালকা রংয়ের এবং পাতলা জর্জেট কাপড়ের পর্দা দেওয়া হয় তাহলে সেখানে আলো ও বাতাস ঢুকতে পারবে। সঠিক পর্দা নির্বাচন করতে পারলে আপনি ঘুম থেকে উঠে বিছানায় শুয়েই ভোরের সুর্যোদয় দেখতে পাবেন। ফলে সকালের মুডটা চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে।
1 Comment on this Post
Vertical blinds bd
এমন কিছু লিখার জন্য অনেক ধ্যনবাদ …
অফিস এর জানালার জন্য এমন কিছু খুজে পাবেন আমর পর্দার সাইট থেকে …
http://verticalblindsbd.com