নতুন বছর ঘিরে ইবির নানা পরিকল্পনা
শাহজাহান নবীন, কুষ্টিয়া : প্রত্যাশা, প্রাপ্তি, আলোচিত অথবা সমালোচিত নানা স্মৃতিময় কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে ২০১৫ পার করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। গাড়ী পোড়ানোর ঘটনায় ২০১৫র শুরুর দিকে এবং কাকতালীয়ভাবে বছরের শেষ দিন গুলোতেও বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ১৯ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতকালীন ছুটি চলছে যা শেষ হবে ৫ জানুয়ারি।
পুরাতন বছরের বিদায় লগ্নে ক্যাম্পাসের সবুজ চত্বর ছিল ধূলামলিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ শির্ক্ষাথীদের অনুপস্থিতিতে ক্যাম্পাস যেন ছন্নছাড়া। তবে পুরাতন বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি ও সমালোচিত ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বছরে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন প্রশাসনের কর্তারা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ধরণের সংগঠন গুলোও নতুন পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০টির মত সংগঠন থাকলেও নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে অভিব্যক্তি জানিয়েছেন কয়েকটি সংগঠনের নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লন্ঠন’ এর সভাপতি মোরশেদ হাবিব বলেন-‘বছরের শুরুতে চলতি মাসে নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামুলক কিছু কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান পরিচালনাসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।’
সেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমুলক আলোচিত সংগঠন ‘তারুণ্য’র সাধারণ সম্পাদক শাহিদা আক্তার আশা দি প্রমিনেন্টকে বলেন-‘নতুন বছরের শুরুতে শীতবস্ত্র বিতরণ, দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ শিক্ষাবৃত্তি চালু করার কাজ হাতে নিয়েছি। তবে রক্তদান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বৃক্ষরোপনসহ বেশ কিছু কাজ পুরো বছর জুড়েই চলবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি অন্যতম। সংগঠনটির সভাপতি ইমামূল হাছান আদনান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃজনশীল, সেচ্ছাসেবী ও কল্যাণমুলক সংগঠন গুলোর মধ্যে ডিবেটিং সোসাইটি সব থেকে কার্যকর ভুমিকা পালন করে চলেছে। অতীতে ডিবেটিং সোসাইটি বিতর্ক কর্মশালা, জাতীয় বিতর্কে অংশ গ্রহণ, আন্তঃহল-আন্তঃবিভাগ বিতর্কসহ নানা কর্মসূচী সম্পন্ন করেছে। নতুন বছরকে সামনে রেখে আমরা বেশকিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। চলতি মাসেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আবদুল হাকিম সরকার দি প্রমিনেন্টকে বলেন-‘সদ্য বিদায়ী বছরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বেশ ভালোই ছিল। তবে শেষ দিকে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। পুরাতন বছরের ভুল-ত্রুটি ও অপ্রাপ্তির বিষয়গুলো বিবেচনা করে সু-পরিকল্পনার মাধ্যমে নতুন বছর সাঁজানোর চেষ্টা করবো। আমি মনে করি, নতুন বছরটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক কল্যাণকর ও অর্জনের বছর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’