ইবি’র এ্যাম্বুলেন্স চালককে পেটালো ছাত্রলীগ কর্মী
শাহজাহান নবীন, কুষ্টিয়া : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এ্যাম্বুলেন্স চালককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজুর রহমান ও তার সহপাঠিরা। শুক্রবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা আহত চালককে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গাড়ী চালক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজ সন্ধ্যার দিকে চালক আজিবর আলীর কাছে মেবাইলে ফোন করে এ্যাম্বুলেন্স চায়। পরিবহন প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আজিবর এ্যাম্বুলেন্স দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে হাফিজ ক্ষিপ্ত হয়ে ৫-৬টি মোটর সাইকেলে ১০-১২জন ছাত্রলীগ কর্মী মেডিকেলের সামনে এসে আজিবরকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। এসময় সে চিৎকার চেঁচামেচি করলে তারা আজিবরকে কিল, ঘুষি ও বেধড়ক লাথি মারতে থাকে। তাদের আঘাতে সে মাটিতে পড়ে গেলে পাশের দোকানে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করে। প্রত্যক্ষদর্শী অপর এক গাড়ী চালক জানান ‘হামলাকারিদের মধ্যে হাফিজ, অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র নওশাদ, আইন বিভাগের ছাত্র শাকিল আহম্মেদ সুমন, বাংলা বিভাগের ছাত্র রাকিবকে আমি চিনি। এছাড়া বেশ কয়েকজন বহিরাগতও ছিল বলে ওই চালক জানান।
এদিকে হামলার শিকার চালক আজিবর বলেন,‘ওরা আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে এসেছিল। দোকানে স্যাররা না থাকলে আমাকে হয়তো ওরা মেরেই ফেলত। তিনি আরো বলেন গাড়ি দেয়ার এখতেয়ার আমার নেই। পরিবহন অফিস থেকে আমাকে কিছু বলেনি। এজন্য আমি গাড়ি নিয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করি।’ এবিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজুর রহমান হাফিজ মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,‘আমি খুবই অসুস্থ। তাই প্রশাসনের অনুমতিক্রমে এ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলাম কিন্তু সে যেতে না চাওয়ায় আমার কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। তাদের মাঝে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।’
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন প্রশাসন প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান বলেন-‘হাফিজ নামের কেউ শুক্রবার আমার কাছে কোনো গাড়ি চায়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন,‘আমিও বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’