ইবিতে ভর্তি সাক্ষাৎকারে প্রক্সি, যুবক আটক
শাহজাহান নবীন, কুষ্টিয়া : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির মৌখিক পরীক্ষায় আশারাফুল ইসলাম নামে প্রক্সি দিতে আসা একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মাহফুজ আরাফাত নামে এক শিক্ষার্থীর পরিবর্তে সি ইউনিটের মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসলে তাকে আটক করা হয়। চেহারায় মিল থাকায় তার বন্ধু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তাকে সাক্ষাতকার দিতে পাঠিয়েছে বলে আশরাফুল জানায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিট সম্মনয়কারীর অফিস সূত্রে জানা যায়, আটককৃত আশরাফুল, মাহফুজ আরাফাত নামের এক ভর্তিচ্ছুর (‘সি’ ইউনিটে ১০৯১০ রোলধারীর) প্রবেশপত্র নিয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসে । মৌখিক পরীক্ষার সময় তার কথায় অসঙ্গতি এবং প্রবেশপত্রের ছবির সাথে তার চেহারার মিল না থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে মাহফুজ আরাফাত নামের এক ভর্তিচ্ছুর পরিবর্তে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করে।
পরে প্রক্টর অফিসে আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আটক আশরাফুল জানায়, ‘ইবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তৌফিকুর রহমান হিটলার মাহফুজ আরাফাতের পরিবর্তে আমাকে ভাইভা দিতে নিয়ে আসে। সে আমার এলাকার সম্পর্কে চাচা। বিয়ের দাওয়াত খেতে এলাকা থেকে দুরে অবস্থান করায় আমাকে দিয়ে সাক্ষাতকার দেওয়ার চুক্তিতে হিটলারের সাথে টাকার বিনিময়ে যোগযোগ করে আরাফাত। হিটলার আমাকে বলে, আরাফাতের ছবির সাথে তোর মিল আছে। তোকে শিক্ষকরা ধরতে পারবে না। কিন্তু ধরা পড়ার পর সে আমার সাথে আর যোগাযোগ করছে না। তবে কত টাকা বিনিময় হয়েছে তা বলেনি আমাকে।’
প্রক্সি দিতে আসা আশরাফুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার কাশিমপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের পুত্র। সে ঝিনাইদহ জিন্নাহ আলী ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আশরাফুল কে থানায় পাঠানো হয়েছে। এখনও মামলা করা হয়নি। তবে পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।’
ইবি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এখনো মামলা দায়ের হয়নি। মামলা করার পর আমরা সে অনুযায়ি পদক্ষেপ গ্রহন করব।’