ছাত্রলীগ সহ-সভাপতির অনন্য নজির
সজীব হোসাইন, রংপুর : রংপুরে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোলায়মান হাসান খান চা-বিস্কুটের দোকানের মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছেন। তাঁর সার্বক্ষণিক দেখা পাওয়া যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে ছোট্ট চা-বিস্কুটের দোকানটিতে। গত তিনমাস যাবৎ তিনি এই ব্যবসা করছেন।
পারিবারিকভাবে কিছুটা অসচ্ছল এই শিক্ষার্থী ও নেতা সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে চলছেন। কথা বললে সোলায়মান হাসান খান বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমার আদর্শ। তাঁর আদর্শ লালন করি বলেই অন্যায় পথে না চলে পড়াশোনার সাথে এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি।’
পড়াশোনায় মেধাবী সোলেয়মানের জন্ম নেত্রকোণা জেলার দক্ষিণ সাতপাই গ্রামে। দুই ভাই তিন-বোনের সবার বড় সোলায়মান। তিনি ১৯৯৪ সালে রংপুরে আসেন। রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে একই বিভাগে তিনি স্নাতকোত্তর পড়ছেন।
তাঁর সম্পর্কে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আজিজুর রহমান দি প্রমিনেন্টকে বলেন, ‘সোলায়মান শিক্ষার্থী হিসেবে দারুণ মেধাবী। সে কর্মজীবনেও সফল হবে নিঃসন্দেহে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্যদাবি আদায়ে বরাবরই সামনে থাকা এই নেতা ছাত্ররাজনীতির সাথে যুক্ত স্কুল-কলেজ থেকেই। দায়িত্ব পালন করছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়স্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।
সোলায়মান সম্পর্কে উচ্ছস্বিত প্রশংসা করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘সোলায়মান শুধু বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের গর্ব নয়, সারা দেশের গর্ব। সৎ পথে থেকে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ জীবিকা নির্বাহ করছে ত্যাগী এই নেতা।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সোলায়মান হাসান খান বলেন, ‘অনৈতিকভাবে নয়, সৎ পথে থেকে দেশের মানুষের জন্য, পরিবারের জন্য কাজ করে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সারা জীবন লালন করতে চাই।’