নারী দিবসের আড্ডা
তাজবিদুল সিহাব : আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আড্ডা জমেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বন্ধুরা মিলে ক্যান্টিনে, খেলার মাঠে, ঝালমুড়ির কিংবা ফুসকা সব আড্ডায় প্রাণ যেন ‘নারী দিবস’। তাই ক্লাসের ফাঁকে অফ প্রিয়ডে আড্ডা আর গল্পে নারী জাগরণ, লিঙ্গ বৈষম্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা থেকে নারীদের তথা সমাজকে মুক্ত করার দৃয় প্রত্যয় জানাচ্ছে এই তরুণ শিক্ষার্থীরা।
ব্যাবসা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী পিয়া বলেন, ‘সমাজ ব্যবস্থায় নারীকে আজ শুধু পণ্য নয় ‘‘পণ্যের পণ্য’’ করা হয়েছে। এই অবস্থান থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদেরকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা তথা সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবং সমাজের প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’
জাহানারার সুরে সুর মিলিয়ে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল রিতু বলেন, ‘মূলত ১৯৭৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। বাংলাদেশেও আমরা প্রতিবছর দিবসটি উদযাপন করি। কিন্তু উন্নত বিশ্ব ও বাংলাদেশের নারীর অবস্থার মধ্যে বেশ পার্থক্য আছে। এ দেশে নারীসমাজ আজও সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। তাই এই পার্থক্য দূর করতে সমাজের পাশাপাশি নারীদেরকেও তাদের দাবি আদায়ে সচেতন হতে হবে এবং তাদের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে।’
একই বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী নীহারিকা ইসলামের মতে, ‘লিঙ্গ সমতা সূচকে এ দেশের নারীদের অবস্থান এখন পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নারীদের তুলনায় উন্নত হয়েছে। কিন্তু অধিকারের সম্পূর্ণ সমতা আসেনি। চাকরির ক্ষেত্রে নারী সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত; নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীদের মধ্যে নারী পুরুষের চেয়ে কম মজুরি পান। যা একজন নারী হিসেবে আমি কখনই মেনে নিতে পারিনা। সমাজের এসব অসংগতি দূর করতে হলে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।’