চার দেশের গ্যাসলাইন প্রকল্পে ‘আগ্রহী’ বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক : তুর্কেমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ভারত (তাপি) গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পে সংযুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। গতকাল (১৫ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানের ফেডারেল পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাসবিষয়ক মন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি।
যে দেশগুলোতে গ্যাস সংকট, সেই দেশগুলোতে প্রতিদিন ৩.২ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে তাপির মাধ্যমে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তাপির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তাপি পাইপলাইনের গ্যাসের দাম কম হবে জানিয়ে পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকায় আব্বাসি বলেন, এই প্রকল্পে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। তবে চুক্তিটি হবে দিল্লি এবং কাবুলের মধ্যে।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে আব্বাসি জানান, ১৯৯০ সাল থেকে এই গ্যাসলাইনের কাজ শুরু কথা থাকলেও দীর্ঘদিন পর এ বিষয়ে চুক্তি হওয়া অগ্রগতির লক্ষণ। গত আড়াই বছর ধরে সহযোগী দেশগুলো প্রকল্পটি শুরু করতে প্রাথমিক কাজগুলো শেষ করেছেন বলেও জানান তিনি। এই লাইনটি করতে প্রতিটি দেশকেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে জানিয়ে আব্বাসি ফলেন, শেষ পর্যন্ত তুর্কেমেনিস্তান প্রকল্পটির অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের এই মন্ত্রী জানান, পাকিস্তান অংশে ২০১৭ সালে পাইপলাইনের কাজ শুরু হবে। প্রতিটি দেশই এই পাইপলাইনের সুরক্ষার জন্য কাজ করবে বলেও জানান আব্বাসি।