প্রতিদিন দুই ইঞ্চি করে জায়গা দিন : আনিসুল হক
নিউজ ডেস্ক : জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রতিদিন দুই ইঞ্চি করে জায়গা বরাদ্দ দিতে সম্পাদকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। ঢাকা শহরকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে জনসচেতনতামূলক খবর পরিবেশনের জন্য পত্রিকায় জায়গা বরাদ্দের এ অনুরোধ জানান তিনি। শনিবার সোনারগাঁও হোটেলে নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে মতামত নিতে গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ অনুরোধ জানান।
এর প্রতিক্রিয়ায় সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘আপনার তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদের খবর আমরা সবাই ফলাও করে প্রচার করেছি। দুই-এক ইঞ্চি নয়, ভালো কাজ করলে ভালো কাভারেজ পাবেন। আবার খারাপ কিছু করলে সমালোচনা করতেও কিন্তু ছাড়ব না।’ জনকণ্ঠ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ বলেন, ‘শুধু একবার ফুটপাত দখলমুক্ত করে বসে থাকলে চলবে না। বারবার একই জায়গায় অভিযান চালাতে হবে। যাতে তারা আবার এসে না বসে।’ ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) ঢাকা শহরের উন্নয়নের পরামর্শ দেন। দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডে রাতের বেলায় ট্রাক জমা হতে দেখা যায়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আবার যাতে এখানে ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে না ওঠে।’
মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সেজন্য ধর্মীয় ওয়াজ-মাহফিল ঢাকা শহরের মধ্যে না করে তুরাগ নদীর তীরে করার পরামর্শ দেন ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমীমা হোসেন। এ সময় তিনি ফার্মগেইট পার্কে কুতুববাগ দরবার শরিফের মাহফিলের কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। এ সময় দায়িত্ব নেওয়ার নয় মাসে ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত এবং ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করতে নেওয়া নানা কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি এতে সবার সহযোগিতা চাই। যে কো-অপারেট করবে না, তার খবর আছে।” সভার শুরুতে মেয়র তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড, বিলবোর্ড উচ্ছেদের বিষয়গুলো তুলে ধরে নতুন কয়েকটি পরিকল্পনার কথাও জানান।
আনিসুল হক বলেন, ‘এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা উত্তরের ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। নিরাপত্তার জন্য জুনের মধ্যে ১ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। দেওয়াল লিখন বন্ধ করা হবে। কোনো অবৈধ বিল বোর্ড স্থাপন করতে দেওয়া হবে না।’ দুই মাস পর রাস্তায় কোনো আবর্জনা থাকবে না বলেও ঘোষণা দেন মেয়র। পরিবহণ সঙ্কট নিরসনে ৩ হাজার নতুন বাস রাস্তায় নামানোর পাশাপাশি পুরনোগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। সভায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান বক্তব্য রাখেন।